স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্যের ভিত্তিতে টেকসই ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে গতকাল এশিয়া প্যাসিফিক সামিট-২০১৯-এর ‘অ্যাড্রেসিং দ্য ক্রিটিক্যাল চ্যালেঞ্জেস অব আওয়ার টাইম: পিস, রিকনসিলিয়েশন, ইন্টারডিপেনডেন্স, মিউচুয়াল প্রসপারিটি অ্যান্ড ইউনিভার্সাল ভ্যালুজ’ শীর্ষক উদ্বোধনী সেশনের কি-নোট স্পিকারের বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সামিটেরন কি-নোট বক্তব্যে স্পিকার বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা এখন সবার, এটা কোনো ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস, উদ্বাস্তুসহ বিভিন্ন সমস্যার আশু সমাধানে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এশিয়া প্যাসিফিক সামিট এ অঞ্চলের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। এছাড়া সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা জনগণের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।
স্পিকার বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়—এ নীতিকে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। যুদ্ধবিরতি শান্তির মাপকাঠি নয়, বরং বাধাবিপত্তি অতিক্রম করার নিত্য প্রক্রিয়াই শান্তি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিকে প্রাধান্য দেয় বলেই জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ অবদান রাখছে। সে কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে।
তিনি আরো বলেন, অসমতা, বৈষম্য, বেকারত্ব ও দরিদ্রতার মতো জটিল বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়েই গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করে। এক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। তাছাড়া নারীদের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এলে তা ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ হেনরি ভেন থিও, ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশনের কো-ফাউন্ডার হাক জা হান মুন, রিপাবলিক অব পালাউর ভাইস প্রেসিডেন্ট রেনল্ড ওইলচ ও ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট জাসুফ কালা বক্তব্য রাখেন।