সীমিত ওভারের ক্রিকেট দ্বৈরথে সমানে সমান লড়াই করা নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড এবার টেস্ট দ্বৈরথে মুখোমুখি হবে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হবে দুই দলের মধ্যকার প্রথম টেস্ট।
বিশ্বকাপ ও সাম্প্রতিক টি২০ সিরিজে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে দুই দল। ইংল্যান্ডে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের মীমাংসা হয়েছে ‘সুপার ওভার’ নামের টাইব্রেকারে। তাতেও ফল না আসায় বেশি বাউন্ডারি মারার অদ্ভুত নিয়মে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয় ইংলিশরা। এ মাসের শুরুর দিকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৩-২ ব্যবধানে টি২০ সিরিজ জিতে নেয় ইংলিশরা। এখানেও সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে সুপার ওভারের প্রয়োজন পড়ে। টেস্টে সুপার ওভার না থাকায় দুই দলকে কীভাবে আলাদা করা যাবে?
কাগজে-কলমে দুই দলের মধ্যে শক্তির খুব বেশি তফাৎ নেই। তাই সাদা পোশাকেও রোমাঞ্চকর ক্রিকেটের প্রত্যাশা করা যায়। আবার টেস্ট র্যাংকিংয়েও তারা কাছাকাছি। নিউজিল্যান্ড দুইয়ে ও ইংল্যান্ড তিনে অবস্থান করছে।
কাগজে-কলমে শক্তি যা-ই হোক, ইংলিশ দলনায়ক জো রুট ভীষণ সতর্ক। গত বছর নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্টের সিরিজে পরাজিত হয় তারা। পেসম্যান ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ৫৮ রানে অলআউট করে দেয়। ইংল্যান্ড দলপতির কথায়, ‘এবার আমাদের লড়াকু ক্রিকেট খেলতে হবে। আরো বেশি সময় ধরে ব্যাট করতে হবে, প্রথম ইনিংসে অন্তত ১২০ ওভার টিকতে হবে।’
‘আগুনের সঙ্গে আগুন দিয়ে যুদ্ধ’ করতে চান নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড। ইংলিশ স্পিডস্টার জোফরা আর্চারের জবাবে লকি ফার্গুসনকে একাদশে রাখার ইঙ্গিত দেন তিনি। এ কোচের কথায়, ‘ব্যবধান গড়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে সে (আর্চার), কিন্তু আমাদের দলেও এমন একজন আছে যে ঠিক একই স্টাইলে বল করে ও ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন। এটা লকির জন্যও রোমাঞ্চকর দ্বৈরথ, হয়তো তার অভিষেক ঘটবে।’
হিপ ইনজুরির কারণে টি২০ সিরিজে না খেলা দলনায়ক কেন উইলিয়ামসন ফেরার শক্তি বাড়বে নিউজিল্যান্ডের। এএফপি ও বিবিসি