অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ ও স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর গুলশানের অটবি সেন্টারের সেলিব্রিটি কনভেনশন হলে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ২২ ডিসেম্বর গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এজিএমের তারিখ ও স্থান পরিবর্তন হলেও ২১ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট অপরিবর্তিত রয়েছে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে অগ্নি সিস্টেমসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ১ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৪৪ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৪ টাকা ৮৮ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে, অগ্নি সিস্টেমসের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় অগ্নি সিস্টেমস। তার আগে ২০১৭ ও ২০১৬ হিসাব বছরের জন্যও একই হারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল অগ্নি সিস্টেমস শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে এ শেয়ারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৪ টাকা ২০ পয়সা ও ২৩ টাকা ৮০ পয়সা।
২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭ কোটি ২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৪। এর মধ্যে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ৪০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫০ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
