সিরাজগঞ্জের কাটাখালী খাল

খনন ও পাড় বাঁধাই কাজে ধীরগতি, মান নিয়ে অসন্তোষ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ

 সিরাজগঞ্জের কাটাখালী খাল খনন পাড় বাঁধাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত জুনে কিন্তু কাজের ধীরগতির কারণে মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে আরো এক বছর বর্তমানে যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে আগামী বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে এতে খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও আটকে গেছে একই সঙ্গে খনন পাড় বাঁধাইয়ের কাজের মান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যও একই অভিমত ব্যক্ত করে পৌর মেয়র জানিয়েছেন, মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় ঠিকাদারের বিল দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে যমুনা নদীকে পশ্চিমে ফুলজোড় নদী এবং দক্ষিণে হুরাসাগর নদী হয়ে বড়াল নদীকে যুক্ত করতে একটি খাল খনন করা হয়, যা পরিচিতি পায় কাটাখালী নামে প্রায় ২০০ ফুট চওড়া এবং ৩০ ফুট গভীর খাল দিয়ে বড় পালতোলা নৌকা চলাচল করত তবে পরে খালটি দখল হয়ে দূষিত নালায় পরিণত হয় এতে সিরাজগঞ্জ শহরে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয় স্থানীয়দের দাবির মুখে ২০০৪ সালে খালটি দখলমুক্ত করা হয় ২০১৭ সালে খালটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয় সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এরই অংশ হিসেবে দুই দফায় খাল খনন, পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৭৮ কোটি টাকা ওই বছরই স্থানীয় সরকার বিভাগের দেয়া ২৩ কোটি টাকায় খাল খনন পাড় বাঁধাইয়ের কাজ শুরু হয় কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছেন জাহাঙ্গীর হোসেন ফারুক হোসেন নামের দুই ঠিকাদার কার্যাদেশ অনুযায়ী খাল খনন পাড় বাঁধাইয়ের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল ধীরগতির কারণে পরে কাজের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয় তবে মেয়াদ বাড়ানোর পরও ঠিকাদাররা কাজের গতি বাড়াননি কারণে আগামী বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে কাজের মান নিয়েও আপত্তি তুলেছেন স্থানীয়রা

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দারা জানান, কার্যাদেশ মেনে খনন করা হয়নি কারণে গত বর্ষায় শহরের জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল সরকারি কলেজ এলাকায় যেটুকু পাড় বাঁধাইয়ের কাজ হয়েছে, তা- অল্প দিনেই ধসে গেছে কাজ পরিদর্শনে সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন