প্রয়াণের এক যুগ

সঞ্জীব চৌধুরীকে স্মরণ

ফিচার প্রতিবেদক

পৃথিবী, প্রিয় মানুষ আর ভক্তদের কাছ থেকে চির বিদায় নেয়ার দীর্ঘ এক যুগ পার করলেন সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী। গতকাল ছিল প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন। সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। এর মধ্যে বরাবরের মতো এবারো সিলেটে নানা আয়োজনে স্মরণ করা হয় কবি, গীতিকার, শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীকে। গতকাল সকালে সিলেটে আয়োজন করা হয়েছেসঞ্জীব স্মরণ ২০১৯ সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর ক্বিন ব্রিজ সংলগ্ন আলী আমজাদের ঘড়িঘর প্রাঙ্গণে সুরমা নদীর পাশে অনুষ্ঠিত হয় আয়োজন।

সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়াবায়োস্কোপের নেশা আমায় ছাড়ে না’, ‘ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘হূদয়ের দাবি’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘রিকশাসহ আরো অসংখ্য গান আজো নতুন প্রজন্মের কাছে সমান আগ্রহের।

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে তার পৈতৃক নিবাস বিশ্বনাথ উপজেলার দাশঘর গ্রামে।

সঞ্জীব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন আশির দশকে। ছাত্র থাকাকালীন বাম ঘরানার ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৯-৮০ সালে তিনি ঢাকা কলেজের বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সংস্কৃতি সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন সঞ্জীব চৌধুরী। পড়াশোনা শেষ করে দৈনিক উত্তরণ পত্রিকায় যোগ দিয়ে সাংবাদিক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ভোরের কাগজ যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন।

১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে জনপ্রিয় ব্যান্ডদলছুটগঠন করেন। পরবর্তী সময়ে সঞ্জীব চৌধুরীর কথা বাপ্পার সংগীতায়োজন দলটিকে ভিন্ন মাত্রা দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন