চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) ভিয়েতনাম থেকে মোট ১৩ লাখ টন প্রাকৃতিক রাবার রফতানি হয়েছে, যা থেকে দেশটির আয় হয়েছে ১৮০ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে দেশটির রফতানি ও আয় উভয়ই বেড়েছে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৬ ও ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। খবর সিনহুয়া।
ভিয়েতনাম কাস্টমসের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, এ সময় দেশটি থেকে সর্বাধিক রাবার রফতানি হয়েছে চীনে। দেশটি থেকে রফতানীকৃত মোট রাবারের ৬৫ শতাংশের গন্তব্য ছিল বেইজিং। পণ্যটির অন্যান্য শীর্ষ ভোক্তা দেশের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও উত্তর কোরিয়া।
এর মধ্যে শুধু অক্টোবরে দেশটি থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ২৫ টন রাবার রফতানি হয়েছে, যা থেকে আয় দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। এ সময় রফতানি ও আয়ে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৩ ও ২৬ দশমিক ১ শতাংশ।
তবে একই সময় ভিয়েতনাম আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পণ্যটির আমদানিও বাড়িয়েছে। বছরের প্রথম ১০ মাসে দেশটি ৯৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার সমমূল্যের রাবার আমদানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। দেশটির উত্তর কোরিয়া, জাপান ও কম্বোডিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি রাবার আমদানি করেছে।
শীর্ষ প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনকারী দেশগুলোর অ্যাসোসিয়েশন এএনআরপিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ টন প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদিত হয়েছিল, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। তবে ওই সময় পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদায় বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা দেয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়। গত বছর এ খাতে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রাবারের বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়ায় উৎপাদনের সমপরিমাণ। এতে বাজারে চাহিদা অনুপাতে ৫৭ হাজার টন রাবারের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়।
ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ ভিয়েতনামের ৯৬ লাখ ৫ হাজার ৪০০ হেক্টরজুড়ে রাবার গাছের আবাদ ছিল, যা ২০১৭ সালের শেষের দিকের তুলনায় শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কম।