অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকেরা

বণিক বার্তা অনলাইন

নতুন সড়ক আইন বাতিলসহ ৯দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালে জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ডভ্যান,পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।  আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান।

আরো উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব তাজুল ইসলামসহ মালিক শ্রমিক নেতারা।  এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ৯ দফা তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো,
১.সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ স্থগিত করে মালিক-শ্রমিকদের আয়ের সহিত সামাঞ্জস্যপূর্ণ জরিমানার বিধান ও দণ্ড রাখতে হবে। যুগোপযোগী বাস্তাবসম্মত বিজ্ঞান ভিত্তিক নতুন করে সঠিক আইন প্রণয়ন করতে হবে।
২. সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা কমিটি ও সড়ক আইন-শৃঙ্খলা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত যে কোন পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট কমিটিতে প্রতিনিধি হিসেবে অংশ গ্রহণের জন্য অন্তভূক্তি করতে হবে।
৩ সড়ক দূর্ঘটনায় চালককে এককভাবে দায়ি করা যাবে না। দুর্ঘটনায় মামলায় চালক আসামি হলে তা অবশ্যই জামিনযোগ্য ধারায় হতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষী নির্ণয় করতে হবে। এই মামলায় গাড়ির মালিককে গ্রেফতার বা হয়রানি করা যাবে না।

৪বিআরটিএ কর্তৃক রেজিস্টের প্রাপ্ত নভেম্বর-২০১৯ এর পূর্ব পর্যন্ত যে সকল পণ্য পরিবহন গাড়ি রপ্তনী যোগ্য পরিবহনে সুবিধার্থে দৈর্ঘ্য,প্রস্থ্য, উচ্চতা নির্ধারণ পূর্বক তৈরি করা হয়েছে সে সকল গাড়ির মড়েল থাকাকালীন অবস্থায় চলাচলেন অনুমতি দিতে হবে।
৫.সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএ এর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে।

৬ সড়ক-মহাসড়কে ও হাইওয়েতে গাড়ি কাগজপত্র চেকিং এর নামে পুলিশ হয়নানি বন্ধ করতে হবে।
 

৭.সকল জেলা শহর ও হাইওয়ে মহাসড়কের পাশে সিটি কর্পোরেশনের পৌরসভার ও গুরুত্ব ব্যবসায়ী স্থানে পর্যন্ত সুযোগ সুবিধাসহ টার্মিনাল ও ষ্ট্যান্ড নিমার্ণ করতে হবে। টার্মিনাল নিমার্ণের আগে রং পাকিংয়ের মামলা দেওয়া যাবে না।

৮. সারাদেশে  একই নিয়মে একই ওজনে ওভারলোডিং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মোটরযানের শ্রেণি বিন্যাস অনুযায়ী একটি বাস্তবসম্মত বোঝাইকৃত ওজন এর হার নির্দিষ্ট করে ওভারলোডিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।

৯.সড়ক-মহাসড়কে ৩০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা থাকা যাবে না। প্রতি ১০০ কিলোমিটার পর পর পর্যান্ত সুযোগ সুবিধা পূর্ণ বিশ্রামাগারসহ গাড়ি পার্কিয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে পর্যান্ত পরিমান ফুটপাত ওভারব্রীজ আন্ডারপাস জেব্রাক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা। ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য ভিন্ন লেন ব্যবহার করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন