ব্যাপক মাত্রায় সৌদীকরণের ফলে সেখানে এমনিতেই ঝুঁকিতে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থান। প্রতিদিন চাকরি হারাচ্ছেন কেউ না কেউ। এ সুযোগে ন্যায্য পাওনা না দেয়াসহ নানাভাবে কর্মীদের বঞ্চিত করছেন নিয়োগকর্তা। এ বঞ্চনা থেকে রক্ষা পেতে কর্মস্থল পরিবর্তনের সুযোগও নেই তাদের। কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেই তাকে ‘হুরুব’ বা পলাতক ঘোষণা করছেন নিয়োগকর্তা। এরপর অবৈধ হওয়ার ফলে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন ওই শ্রমিক।
জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে শ্রমিকদের ফিরে আসার সবচেয়ে বড় কারণ তথাকথিত ফ্রি ভিসার নামে সেখানে গিয়ে অবৈধ হয়ে পড়া। একজন শ্রমিক ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান, যে প্রতিষ্ঠানের চাকরি নিয়ে গেছেন, সেই বেতনে অভিবাসন খরচ উঠছে না। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে নিয়োগকর্তা ওই কর্মীকে হুরুব ঘোষণা করে দিচ্ছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো কর্মী ছুটি না নিয়ে কোথাও চলে গেলে নিয়োগকর্তা তাকে হুরুব বলে রিপোর্ট করেন। নিয়োগকর্তা এ রিপোর্ট ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে করতে পারেন, আবার অনলাইনেও হুরুব ঘোষণা করতে পারেন। হুরুব ঘোষণা করার ২০ দিনের মধ্যে যদি ওই কর্মী কাজে ফিরে আসেন, তাহলে নিয়োগকর্তা হুরুব উঠিয়ে নিতে পারেন। আর ২০ দিনের মধ্যে না ফিরলে ওই কর্মী সৌদি আরবে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হন এবং জোরপূর্বক দেশে ফিরতে বাধ্য হন।
সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা কর্মীদের অনেকেই বলছেন, বৈধ ইকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তারা মূলত ফিরতে বাধ্য হয়েছেন নিয়োগকর্তা কর্তৃক হুরুব ঘোষিত হওয়ার কারণে।
জেদ্দার বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশী শ্রমিকদের ইকামায় যে পেশা ও নিয়োগদাতার নাম উল্লেখ করা আছে, সেখানে কাজ না করে অন্য স্থানে বা অন্য কোনো পেশায় কাজ করছেন এমন প্রবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে সৌদি সরকার, যার প্রথম ধাপ নিয়োগকর্তা কর্তৃক হুরুব ঘোষণা।
সৌদি আরব থেকে বৈধ বাংলাদেশী কর্মীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি জানিয়ে গত মাসে প্রবাসী কল্যাণ