প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কোনো নতুন চুক্তি হয়নি। এ সফরে যেগুলো হয়েছে সেগুলো হচ্ছে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা এমওইউ এবং স্ট্যান্ডার্ড অব অপারেশনাল প্রসিডিউর বা এসওপি। শুধু লাইন অব ক্রেডিট, যেটা ভারত সরকার আমাদের দিয়েছে, সে এগ্রিমেন্টের আলোকে এক্সিম ব্যাংক ঢাকায় একটি অফিস খুলবে। সেই মর্মে চুক্তি হয়েছে, অন্য কোনো চুক্তি সেখানে হয়নি। অথচ বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে চুক্তি। বিএনপির মতো একটি দল এবং দলটির মহাসচিব চুক্তি ও এমওইউর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না, এটি দেখে আমার আশ্চর্য লাগছে। সচিবালয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিএনপির পত্র দেয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়নি জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল (রোববার) বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের সিগনেচারে একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেয়া হয়েছে, যেটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া গ্রহণ করেছেন। প্রথমবারের মতো তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন, সেখানে কোনো জায়গায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নেই। খালেদা জিয়া সম্পর্কে একটি শব্দও সেখানে নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে যে বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় কিনা। নাকি খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে তারা বাইরে রাজনীতি করে জনগণের সহানুভূতি আদায় করতে চায়, সে বিষয়েও প্রশ্ন জাগে।
