চবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মারামারিতে আহত ২

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, চবি

কনসার্টে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মারামারিতে এক সাধারণ শিক্ষার্থীসহ দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলের মাঠে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। বিবাদমান পক্ষ দুটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আহতদের মধ্যে বাংলা বিভাগের এক সাধারণ শিক্ষার্থী রয়েছেন, যিনি নিজের নাম না প্রকাশ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যজন সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত একাউন্টিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভাস্কর চক্রবর্তী। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলের মাঠে বেসরকারি একটি টেলিকম কোম্পানির সৌজন্যে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। কনসার্ট চলাকালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারীরা সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী তনয় নামে এক কর্মীকে মারধর করে। এ খবরে কনসার্টে হট্টগোল শুরু হয়। শহীদ আবদুর রব হল থেকে সভাপতির অনুসারীরা লাঠিসোটা নিয়ে বের হতে চাইলে সিনিয়র নেতাকর্মীরা আটকে দেন তাদের। আবাসিক হলটিতে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের কয়েকটি কক্ষ ভাংচুর করা হয়। 

এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কনসার্টের মঞ্চে উঠে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানালে, পরিবেশ স্বাভাবিক হয় এবং কনসার্ট চলতে থাকে। পরে সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে শহীদ আবদুর রব হলের ঝুপড়িতে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী ভাস্কর চক্রবর্তীকে মারধর করেন সভাপতির অনুসারীরা। এ নিয়ে আবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে দুই পক্ষের মধ্যে। এরপর সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এসে প্রতিপক্ষ সন্দেহে বাংলা বিভাগের এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধর করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, আহতদের হাত, পা ও মাথায় আঘাত রয়েছে। তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা মানসিকভাবে বেশি ভয় পেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, 'অনেক বড় কনসার্টে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। আমরা বিষয়টি প্রথমে সমাধান করে ফেলি। কিন্তু পরে আবার কিছু ঘটেছে। তা তদন্ত সাপেক্ষে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, দুদল ছাত্রের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে খতিয়ে দেখা হবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ছাত্র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্ষম হয়েছি। বিষয়টি সমাধান করতে বলা হয়েছে তাদের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন