গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় হবে ২৭ নভেম্বর। ঢাকার
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ ও
আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
আলোচিত এ মামলায় ২০১৮ সালের ২৬
নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ৩ ডিসেম্বর মামলার বাদী এসআই রিপন
কুমার দাসের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। তার আগে ওই বছরের
২৩ জুলাই হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে
আদালতে অভিযোগপত্র দেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম
ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন
জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী,
রাকিবুল হাসান রিগান, আসলাম
হোসেন ওরফে রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ,
সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর
রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। গতকাল রায়ের তারিখ ঘোষণার সময় আসামিরা
আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেয়ার সময়
তারা সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হলে ২০০৯ সালের এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি
আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ১৭ বিদেশীসহ ২০ জনকে হত্যা করে
হামলাকারীরা। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে কমান্ডো অভিযানে
হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত পাঁচ তরুণের সবাই নিহত হন।
ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত
করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। মামলাটিতে
রাষ্ট্রপক্ষে ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
