বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ ১৫টি লক্ষ্যকে
সামনে নিয়ে তুরস্কের আঙ্কারায় শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ
অর্থনৈতিক কমিশনের পঞ্চম সভা। সভায় অংশ নিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তুরস্কের উদ্দেশে
ঢাকা ছাড়বেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন এশিয়া অঞ্চলের
১৮টি দেশের সঙ্গে সর্ম্পকোন্নয়নে কাজ করে। এটি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক
সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কমিশন অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক
সম্প্রসারণ, প্রবাসী কল্যাণ,
জনশক্তি রফতানি ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অন্যতম
কাজ হচ্ছে ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের’ মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সর্ম্পকোন্নয়ন করা এবং দেশের বৃহত্তর
স্বার্থ বজায় রাখা। যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সুফলও ভোগ করে আসছে বাংলাদেশ।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, তিনদিনের
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য-বিনিযোগ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি,
আইসিটি,
শিপ বিল্ডিং, শিল্প, কর্মসংস্থান, নৌ-পরিবহন, কৃষি, শিক্ষা, নগরায়ণ, প্রাকৃৃতিক
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পর্যটন ও বিমান পরিবহন,
জ্বালানি-বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি-ট্যুরিজম, ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স,
মানবসম্পদ উন্নয়ন, পাট-টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। এছাড়া
এতদিন ধরে চলে আসা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন করে আর
কী কী খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হবে।