আদালত প্রাঙ্গণেই দুই নারীকে
উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ফের গ্রেফতার হয়েছেন হাজিরা দিতে আসা জামিনে মুক্ত দুই
আসামি। বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল
লালমনিরহাট দ্বিতীয় দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
কারাগারে পাঠানো ওই দুই আসামি হলেন
আদিতমারী উপজেলার দীঘলটারী এলাকার আমির হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (২৮)
ও তার ছোট ভাই রাবিউল ইসলাম
(২৫)। তাদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় মাদক মামলা
রয়েছে। সেই মামলায় এ দুই সহোদর জামিনে মুক্ত ছিলেন। গতকাল হাজিরা দিতে এসে আদালতের
বারান্দায় অপেক্ষা করছিলেন।
অভিযোগকারী দুই নারী বলেন, নজরুল
ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে তারা আদালতে এসেছিলেন। ফেরার সময় ওই দুই
আসামি তাদের উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করলে তারা উল্টো মারধর করতে শুরু করে।
গতকাল বিকাল ৪টার দিকে দ্বিতীয় দায়রা
জজ আদালতের বিচারক মো. মারুফ হোসেনের আদালতের সামনের বারান্দায় (জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায়) এ
ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট কোর্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) মুসা
আলম।
দায়রা জজ আদালত ও কোর্ট পুলিশ সূত্র
জানায়, লালমনিরহাট দ্বিতীয় দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দেয়ার জন্য বারান্দায়
অপেক্ষা করছিলেন রাশিদুল ইসলাম ও রাবিউল ইসলাম। এ সময় একই এলাকার সেলিনা বেগম ও
তার ননদ খাদিজা বেগম উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তাদের শার্টের কলার ধরে প্রতিবাদ করে।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দৃশ্যটি দ্বিতীয় দায়রা জজ মো. মারুফ
হোসেনের নজরে পড়ে। তিনি পুলিশকে চারজনকেই আটক করার নির্দেশ দেন। পরে তাদের
জবানবন্দি নিয়ে রাশিদুল ও রাবিউলের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং
দুই নারীকে ছেড়ে দিতে বলেন।
লালমনিরহাট কোর্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (এসআই) মুসা আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিচারক আদালতের বারান্দায় হাতাহাতির
ঘটনায় চারজনকেই আটক করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাদের জবানবন্দি নেয়ার
পর রাশিদুল ও রাবিউলের মাদক মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর এবং দুই
নারীকে ছেড়ে দেয়ার আদেশ দেন আদালত। আমরা সে আদেশ কার্যকর করেছি।