নিতাইগঞ্জ বাজার

এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০০ টাকা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ

দেশে মসলা পণ্য পেঁয়াজের হঠাৎ লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে নাকাল ভোক্তারা। তবে পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে এখন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য মসলা পণ্যের দামও। যার মধ্যে অন্যতম এলাচ। দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি এলাচের দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এলাচের দাম বেড়েছে। তবে শুধু এলাচ নয়, দাম বেড়েছে দারচিনি, জিরাসহ অন্যান্য মসলারও।

গতকাল নিতাইগঞ্জ কালির বাজার ঘুরে দেখা যায়বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি এলাচ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে হাজার ৪০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে হাজার ৯০০ টাকায়। এছাড়া কিছুটা নিম্নমানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি হাজার টাকায়। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল হাজার ৬০০ টাকা কেজি। পাশাপাশি আরো কিছুটা নিম্নমানের এলাচ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল হাজার ৫০০ টাকা।

এলাচের পাশাপাশি অন্যান্য মসলার মধ্যে দারচিনির দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৩৫০ টাকা কেজি, জিরা কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের লবঙ্গের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কিছুটা নিম্নমানের লবঙ্গ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়, যা কিছুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায়।

কয়েক মাস ধরেই বাজারে গোলমরিচের দাম কমতির দিকে রয়েছে। এর মধ্যে সাদা গোলমরিচের দাম কিছুটা কমে প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, কালো গোলমরিচ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর তেজপাতার দাম গত তিন মাসে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে প্রতি কেজি তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ব্যবহূত এলাচের পুরোটা আমদানিনির্ভর। কিন্তু এবার অন্যান্যবারের তুলনায় আমদানি কিছুটা কম হয়েছে। যে কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকট দেখা দেয়ায় বাজারে মসলা পণ্যটির দাম বেড়েছে। তবে আমদানি বাড়লে আবারো এলাচের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।

তবে কিছু ব্যবসায়ী দাম বৃদ্ধির জন্য আমদানিকারকদের দুষছেন। তারা মনে করেন, আমদানি কম দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা মূলত এলাচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও বাধ্য হয়ে দাম বাড়াচ্ছেন।

বিষয়টি সম্পর্কে কালির বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী হাজি আব্দর রশিদ বণিক বার্তাকে বলেন, মূলত চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরাই দেশে মসলা আমদানি করে থাকেন। আর এখানকার ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম থেকে কিনে এনে পাইকারিতে বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করার কারণে তাদেরও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এলাচের দাম গত এক বছরের তুলনায় এবার সবচেয়ে বেশি বলেও জানান তিনি।

একই কথা জানান নিতাইগঞ্জের গোলাপ শাহ স্টোরের স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার এলাচের আমদানি কম হয়েছে। যে কারণে বাজারে সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। আর সরবরাহ সংকটের কারণেই বাজারে দাম বেড়েছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েক বছর ধরে এলাচসহ সব ধরনের মসলার দাম ক্রেতাদের নাগালেই ছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে এলাচ, জিরা, দারচিনিসহ সব ধরনের মসলার দাম বাড়তে শুরু করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন