দেশেই নিকেল আকরিক বিক্রির চিন্তা ইন্দোনেশিয়ার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার খনি মালিকরা দেশের বাজারেই নিকেল আকরিক বিক্রির চিন্তাভাবনা করছেন। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দাম পেলে তারা দেশীয় পরিশোধন কারখানাগুলোতেই নিকেল আকরিক বিক্রি করতে চান। যেখানে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নিকেল রফতানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইন্দোনেশীয় সরকার। খবর রয়টার্স।

বিশ্বের বৃহত্তম নিকেল আকরিক রফতানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া। সম্প্রতি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে দুই সপ্তাহ রফতানি স্থগিত করেছিল। গত সপ্তাহে নয়টি কোম্পানিকে রফতানিতে আবার অনুমতি দিয়েছে। আরো দুটি কোম্পানি অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। তবে অন্য আরো ২৬টি কোম্পানি অভিযোগ করছে, সরকারের রফতানি কোটার প্রক্রিয়াটি পরিষ্কার নয়।

ইন্দোনেশিয়ার নিকেল খনি মালিকদের সমিতি এপিএনআইয়ের হিসাবে, ৮০ লাখ নিকেল আকরিক রফতানির কোটা এখনো অব্যবহূত রয়ে গেছে।

পরস্থিতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিদি কাতরিন লেংকি বলেছেন, যেসব শর্তে নিকেল আকরিক রফতানি হয়, সেসব শর্ত মেনে স্থানীয় পরিশোধকরা যদি কিনতে চান, তাহলে আমরা কেন রফতানি করতে যাবো? আমরা বরং স্থানীয় বাজারেই আকরিক বিক্রি করব।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগ সমন্বয় বোর্ড পরিশোধন কোম্পানিগুলোর সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে লেংকি বলেন, সরকারি কর্তৃপক্ষের তদন্তে যেসব আকরিকবাহী কার্গো বিধি লঙ্ঘনের কারণে আটকা পড়ে গেছে, সেসব আকরিক স্থানীয় পরিশোধন কারখানায় বিক্রি করা হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি টন ২৭-৩০ ডলারে এসব আকরিক তারা কিনতে পারবে।

বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান বাহলিল লাহাদালিয়া বলেছেন, স্থানীয় পরিশোধন কোম্পানিগুলো সাধারণত উন্নত মানের নিকেল আকরিক কিনতে চায়। কিন্তু এবার তারা দশমিক শতাংশের কম নিকেল রয়েছে এমন মানের আকরিকও কিনতে পারবে। চলতি মাসে মানের প্রায় ২০ লাখ টন নিকেল আকরিক স্থানীয় বাজারে বিক্রির বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে নিকেল আকরিক রফতানি বন্ধের পরিকল্পনা ঘোষণার পর পরই ধাতুপণ্যটির আন্তর্জাতিক বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। এতে ইন্দোনেশিয়া থেকে রফতানি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর রফতানি স্থগিত করে দেশটির সরকার। সময় উচ্চমানের নিকেল আকরিকও রফতানি হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে সরকার। যেখানে দশমিক শতাংশের কম নিকেল আছে, শুধু এমন মানের আকরিক রফতানিতে অনুমতি দেয় ইন্দোনেশিয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন