দেনায় জর্জরিত রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস

সংকটের মুখে পদত্যাগ করলেন অনিল আম্বানি

রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আরকম) ভারতের অন্যতম শীর্ষ সেলফোন অপারেটর। তবে দেশটির মোবাইল টেলিকম খাতের দ্রুত বিকাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যত দিন গেছে, আরকমের দেনার দায় বেড়েছে। একসময়ের অন্যতম শীর্ষ ধনী অনিল আম্বানির মালিকানায় রীতিমতো দেউলিয়া হওয়ার পথে এগিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখা গেছে, রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস রেকর্ড পরিমাণ লোকসান করেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সংকট তীব্র হয়েছে। সংকটের মুখে আরকমের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অনিল আম্বানি। একই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্য ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও)। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আরকম) ভারতের অন্যতম শীর্ষ সেলফোন অপারেটর। তবে দেশটির মোবাইল টেলিকম খাতের দ্রুত বিকাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যত দিন গেছে, আরকমের দেনার দায় বেড়েছে। একসময়ের অন্যতম শীর্ষ ধনী অনিল আম্বানির মালিকানায় রীতিমতো দেউলিয়া হওয়ার পথে এগিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখা গেছে, রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস রেকর্ড পরিমাণ লোকসান করেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সংকট তীব্র হয়েছে। সংকটের মুখে আরকমের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অনিল আম্বানি। একই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্য প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের এক বিবৃতিতে অনিল আম্বানিসহ পর্ষদ সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৫ নভেম্বর অনিল আম্বানি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একই দিন পদত্যাগ করেছেন রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের পর্ষদ সদস্য ছায়া ইরানি মঞ্জরি কাক্কার। এর আগে ১৪ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্য রায়না কারানি। এর আগের দিন পদত্যাগ করেছেন পর্ষদ সদস্য সুরেশ রাঙচার। একই সঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের সিএফও মণিকান্তন বিশ্বনাথন। এরই মধ্যে ডি বিশ্বনাথকে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সিএফও হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসে পদত্যাগের শুরু চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ঋণের দায়ে ডুবে থাকা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৪২ কোটি রুপি। ভারতের ইতিহাসে কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানের এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোকসানের রেকর্ড। অথচ গত বছরের একই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি হাজার ১৪১ কোটি রুপি লাভের মুখ দেখেছিল।

ভারতের বিখ্যাত ব্যবসায়ী ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর দুই ছেলে মুকেশ আম্বানি অনিল আম্বানির মধ্যে সম্পত্তি ভাগ হয়ে যায়। আরকমের দায়িত্ব নেন অনিল আম্বানি। শুরুর দিকে ভালোই চলছিল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি। তবে দশকের ব্যবধানে ধীরে ধীরে ডুবতে শুরু করে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস। একই সঙ্গে ডুবতে থাকেন একসময়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনীদের একজন অনিল আম্বানি।

মূলত কার্যকর পরিকল্পনা ছাড়া ঋণ নেয়া, ব্যবসা এগিয়ে নিতে ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং অব্যাহত লোকসান তিন কারণে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস অনিল আম্বানির পতনের শুরু বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতিতে বড় ভাই মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে ভারতের টেলিকম বাজারে রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের উত্থান আরকমকে প্রতিযোগিতায় আরো পিছিয়ে দেয়।

বর্তমানে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৮ হাজার ৩১৪ কোটি রুপির কিছু বেশি। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির নামে ঋণের পরিমাণ ৩৩ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে, সেটা সর্বশেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে।

২০১৭ সালের মার্চে শেষবার নিজেদের দেনাসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছিল আরকম। প্রতিষ্ঠানটির পাওনাদারের তালিকায় রয়েছে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, দ্য চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, এরিকসনের মতো ৪০টির বেশি ব্যাংক কোম্পানি। রিলায়েন্স জিওর কাছে সম্পদ বিক্রি করে দেনামুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালান অনিল আম্বানি। তবে জিও আরকমের দেনার দায় নিতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে বিষয়টি ভারতের ন্যাশনাল কোম্পানি ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি) গড়ায়। আইনি জটিলতা পাওনাদারদের মাঝে ঐকমত্যের অভাবে সম্পত্তি বিক্রির প্রক্রিয়াও আটকে যায়। ফলে বাধ্য হয়েই দেউলিয়া আদালতের দ্বারস্থ হয় আরকম। পরিস্থিতিতে অনিল আম্বানিসহ পর্ষদ<

আরও