গোপালগঞ্জে ৬ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসন। আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূর উদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে পাঁচজনকে স্থায়ী একাডেমিক এবং একজনকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কৃতরা হলেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের রাফিজুল ইসলাম, নূরুদ্দিন নাহিদ,আরিফুল ইসলাম সাকিব, মো মাজহারুল ইসলাম মিশন ও রাহাত আল হাসান। এছাড়া দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন একই বিভাগের ইসমাইল শেখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ মাসের প্রথম সপ্তাহে তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ডের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ড সভা করে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের তৃতীয় দিনে ২১ সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ আদেশ অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে ওই দিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়। এতে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন।

এঘটনায় প্রথমে সাবেক ভিসির করা তদন্ত কমিটি ‘আইনের আশ্রয় নেওয়ার’ সুপারিশ করেছিল। তবে ওই ভিসির পদত্যাগের পর গত ২০ অক্টোবর সিএসই বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক ড. সালেহ আহমেদ, প্রক্টর ড. মো.রাজিউর রহমান, বাংলা বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক মাহবুবা উদ্দিন ও প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদকে সদস্য করে পাঁচ সদস্যের পুনঃতদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন