রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলার রায় আগামী ২৭ নভেম্বর ঘোষণার দিন ঠিক করেছে ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার এ তারিখ নির্ধারণ করেন। ওই ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান (জাকির) জানান, রোববার বাকি ৫ আসামির পক্ষে আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে বিচারক রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।
রোববার মামলাটিতে ৫ জন আসামির পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আইনজীবীরা তাদের নির্দোষ দাবি করে বেকসুর খালাস প্রার্থনা করেন। এদিন নির্দোষ দাবি করা আসামিরা হলেন, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ।
রোববার যুক্তি উপস্থাপনের আগে ৮ আসামিকেই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলায় গত ১৩ নভেম্বর যুক্তি উপস্থাপনে আসামি হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর ও জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যানও নির্দোষ বলে দাবি করেন আইনজীবীরা।
এর আগে গত ৬ ও ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষে ৮ আসামিরই মৃত্যুদ- শাস্তি দাবি করেন। মামলাটিতে ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ৩০ অক্টোবর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি হয়। ওইদিন ৮ আসামিই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বেকসুর খালাস প্রার্থনা করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।
