দিনাজপুরের হিলিতে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৩০ টাকা করে। গতকাল শনিবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। খুচরাতে যা ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, একদিন আগেও যা ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আর দেশীয় পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আজ রবিবার হিলি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কথা হয় পেঁয়াজ কিনতে আসা যুবক হায়দার হোসেনের সঙ্গে। পেঁয়াজের বর্তমান দাম নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজারে সরকারের কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই, ঘণ্টায় ঘণ্টায় পেঁয়াজের বাজার পরিবর্তন হচ্ছে। চারদিন আগে যে পেঁয়াজ হিলি বাজারে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম, সেই পেঁয়াজ একদিন পরেই ১৮০ টাকা হয়ে যায়। এর পরের দিন যা আরও বেড়ে ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকায় উঠে গেল। আর এভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের ব্যয়ভার মেটানো অসম্ভব পড়বে। যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে পেঁয়াজ ছাড়াই আমাদের রান্না করে খেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের যে সীমিত আয়; তার মধ্যে পেঁয়াজ কিনতেই যদি এত টাকা লাগে তাহলে বাকি বাজার করবো কীভাবে। এর ওপর টিভি-পত্রিকায় খবর দেখছি অনেক স্থানে গুদাম থেকে পচা পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছে। এতে বোঝা যায়, এটা সিন্ডিকেট ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেই যে যার ইচ্ছেমতো করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন, তাই এবিষয়ে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। তবে গতকালের চেয়ে আজ পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনিরুল আলম জানান, গতকয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। দুই একদিনের ব্যবধানে কেজিতে প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় সরকার পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সাথে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে এমন খবরের ফলে দেশের অনেক বড় বড় মোকামগুলোতে মজুদকৃত পেঁয়াজগুলো বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় বাজারে আগের তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ খানিকটা বেড়েছে।
এছাড়াও স্থানীয়ভাবে হিলির আশে পাশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে কিছু পেঁয়াজ আসার ফলে হিলি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ খানিকটা বেড়েছে। এতে করে বাজারে পেঁয়াজের দাম খানিকটা কমেছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ এমন থাকলে দাম কমবে বলে তিনি জানিয়েছেন।