লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের কালিকাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৫০ শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন। তবে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের পাঠদানে কোনো কম্পিউটার শিক্ষক নেই এ বিদ্যালয়ে। জেলার কমলনগর উপজেলার মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়েও একই চিত্র। পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়টিতেও কম্পিউটার বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই।
কালিকাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ই নয়; দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কম্পিউটার শিক্ষক নেই। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্যমতে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান আছে ৩৪ হাজার ৯৮১টি। এর মধ্যে ১০ হাজার ৯৯৩টিতে কম্পিউটার বিষয়ে কোনো শিক্ষক নেই। সে হিসাবে এ দুটি স্তরের প্রায় ৩২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানেই তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদানের কোনো বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তটি প্রশংসনীয়। তবে এ বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ায় লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো বিষয় বাধ্যতামূলক করার যৌক্তিকতা নেই। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক (কম্পিউটার শিক্ষক) নিয়োগের জন্য এখনো কোনো পদ সৃষ্টি করা হয়নি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও পর্যবেক্ষণ ও তদারকির ব্যবস্থা দুর্বল। শিক্ষার্থীরা নামেই একটি বই পড়ছে, কার্যকর অর্থে তথ্যপ্রযুক্তির কতটুকু শিখছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ। তাই একটি বিষয় শুধু ঘোষণা করলেই হবে না। এর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যাপ্তসংখ্যক দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
কম্পিউটার শিক্ষক না থাকা বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়ায় এ বিষয়ে পাঠদান হচ্ছে ঠিকই, তবে শুধুই রুটিনমাফিক। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই বিজ্ঞান কিংবা গণিতের শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে চলছে বিষয়টির পাঠদান। ফলে মানসম্মত তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের কালিকাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক করায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদান দিতে হচ্ছে। তবে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের গুণগত পাঠদান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া চার-পাঁচ বছর আগে একটি কম্পিউটার দেয়া হলেও এখন সেটি নষ্ট। তাই
- হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের শত শত মুরগি
- মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস
- উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা
- বুয়েট খোলার দ্বিতীয় দিনে ১৩০৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বর্জন
- এক বন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আমরা অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না
- ঝুঁকি এড়াতে গতি অর্ধেক কমিয়ে চলছে ট্রেন