তিনদিনেই ইনিংস ব্যবধানে হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষেই ম্যাচের ফল একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর অপেক্ষা ছিল হারের ব্যবধান কতটা সম্মানজনক হয় তা দেখার। কিন্তু দুই ইনিংস মিলিয়েও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভারতের এক ইনিংসের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। ভারত ছয় উইকেট হারিয়ে যে রান করেছে, বাংলাদেশ দুই ইনিংসে ২০ উইকেট হারিয়ে তার চেয়ে ১৩০ রান কম করেছে। তাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুরুটাও হলো ইনিংস হারের ভরাডুবিতে। এমনকি তিনদিনও পুরো খেলতে পারেনি মুমিনুল হকের দল। অন্যদিকে ঘরের মাঠে টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত ভারত এখন চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলেও সবার উপরে। ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ৩০০ পয়েন্ট।

ইন্দোরে দ্বিতীয় দিন শেষে ভারতের রান ছিল উইকেটে ৪৯৩ রান। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের চেয়ে ভারত তখন এগিয়ে ৩৪৩ রানে। দেখার অপেক্ষা ছিল তৃতীয় দিন ভারত কখন ইনিংস ঘোষণা করে। কিন্তু আগের দিন যেখানে শেষ করে ভারত সেখানেই ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তখন একটাই প্রশ্ন, বাংলাদেশ চতুর্থ দিন পর্যন্ত ম্যাচ টানতে পারবে তো? তবে ওভার যেতেই উত্তর মিলতে শুরু করে একে একে। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই ইমরুল কায়েসের স্টাম্প উড়ালেন উমেশ যাদব। বাতাসে হালকা সুইং করে ঢোকা বল ড্রাইভ করার চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারেননি ইমরুল () ফিরলেন বোল্ড হয়ে। একই ওভারে মুমিনুলকে ফেরাতে রিভিউর শরণাপন্ন হয় ভারত। কিন্তু যাত্রায় টিকে যান মুমিনুল। তবে পরের ওভারে বাঁচতে পারেননি সাদমান ইসলাম। ইশান্ত শর্মার লেংথ বল সাদমানের ডিফেন্স ভেঙে আঘাত হানে স্টাম্পে। ১৬ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশের পরাজয়ের পথ ততক্ষণে অনেকটাই পরিষ্কার। প্রথম ইনিংসে কিছুটা লড়াই করেছিলেন মুমিনুল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক। রান করে ফেরেন মোহাম্মদ শামির শিকার হয়ে। যদিও প্রথমে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে মুমিনুলকে ফেরায় স্বাগতিকরা। শামির দ্বিতীয় শিকার মোহাম্মদ মিঠুন। চারে ১৮ রান করা এই ব্যাটসম্যান ফেরেন মায়াঙ্ক আগারওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৪৪ রানে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশও তখন অপেক্ষায় বড় পরাজয়ের। প্রথম ইনিংসে একাধিকবার জীবন পাওয়া মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসেও পেয়েছেন জীবন। তবে মুশফিককে জীবন দেয়া রোহিত শর্মা ছাড় দেননি মাহমুদউল্লাহকে। শামির বলে স্লিপে ঠিকই

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন