রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেনকে ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টা নাগাদ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করার পর তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা ৩টার পর আন্দোলন স্থগিত করে মহাসড়ক ছেড়ে যান শিক্ষার্থীরা। উত্থাপিত তিন দফা দাবি মানা না হলে আজ সকাল ১০টায় তারা ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে সোহরাব হোসেন নামে ওই শিক্ষার্থীকে রাবির শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ডেকে নিয়ে ল্যাপটপ চুরির অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ ও নাহিদ। এতে ওই শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায় ও বাম হাত ভেঙে যায়। বর্তমানে সোহরাব রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো, নাহিদ ও আসিফসহ মারধরকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে, হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সোহরাব হোসেনের চিকিৎসাভার বহন করতে হবে।
অবরোধ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মারমুখী আচরণ বেড়েই চলেছে। তুচ্ছ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের এর আগেও মারধর করেছে ছাত্রলীগ। কিন্তু এসব ঘটনার কোনো বিচার আমরা পাইনি। ছাত্রলীগও এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিচারের নামে বহিষ্কারের নাটক করে ছাত্রলীগ। কাউকে বহিষ্কার করলেও কিছুদিন পর আবার তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও নিশ্চুপ ভূমিকায়। তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও বরাবরের মতো দেখছি বলেই দায় এড়িয়ে যান তারা।
