‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ তকমা মুমিনুল হক সৌরভের নামের সঙ্গে আগে থেকেই জুড়ে ছিল। সেই ফরম্যাটে তার অধিনায়কত্বে এই প্রথম টেস্ট খেলল বাংলাদেশ, তাও ভারতের মাটিতে। যদিও এ ম্যাচের ফল যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যেতে চাইবেন মুমিনুল নিজেও। ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে ইনিংস ও ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে হার। ম্যাচ শেষে তাই সমালোচনার তীরটা সবার আগে মোকাবেলা করতে হচ্ছে মুমিনুলকেই। তবে আগের দিন কোচের দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এবার মুমিনুলও বললেন দেশের ক্রিকেটের কাঠামোতে পরিবর্তন আনার কথা। বললেন, এই পরিবর্তনের ভেতর দিয়েই ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব।
গতকাল ইন্দোরে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট ফরম্যাটে আলাদা দল গড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ দলনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘যদি আমি কোচের সঙ্গে বসার সুযোগ পাই, তবে সেটি ইতিবাচক কিছু নিয়ে আসবে। অবশ্য এ রকম যদি করা হয়, তবে এক রাতেই সব বদলে যাবে না। কিছুটা সময় লাগবে। এই কঠিন সময়টুকু আমাদের ধৈর্য ধরে পাড়ি দিতে হবে। দুই-তিন বছর পর থেকে আমরা এর ফল পেতে শুরু করব।’
কাঠামো পরিবর্তনের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে অধিক টেস্ট খেলার ওপরও জোর দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের অনেক টেস্ট খেলা উচিত। আপনারা যদি গত সাত মাসের দিকে তাকান তবে আমরা এক বা দুটি টেস্ট খেলেছি। অন্য দলগুলোর মতো আমরা যথেষ্ট টেস্ট খেলতে পারি না। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের ব্যর্থতার প্রধান কারণ।’
ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের পেছনে কারণ জানতে চাইলে মুমিনুল আঙুল তোলেন দলের ব্যাটসম্যানদের দিকেই। এ সময় ভারতের পেসাররা হুমকি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, এটা হুমকি ছিল (ভারতীয় পেসারদের মোকাবেলা করা)। কিন্তু এর পাশাপাশি আমি মনে করি, আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ব্যর্থ ছিলাম। তিনজন পেসার নিয়ে তারা বিশ্বের এক নম্বর বোলিং সাইড। পাশাপাশি আমরাও সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।’