বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগে তর্জন-গর্জন শোনা গেলেও সর্বসম্মতিক্রমেই পাস হলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ অন্যান্য ইস্যু। ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাবের সঙ্গে ২০২০ সালের সম্ভাব্য বাজেটও পাস করা হয়েছে।
গাজীপুরের এক রিসোর্টে আয়োজিত এজিএমে উত্তাপের আশঙ্কা ছিল ১৭ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে। খোদ দুই সহসভাপতি বাদল রায় ও মহিউদ্দিন আহমেদ মাহি স্থানীয় ফুটবল সংস্থার আয়-ব্যয়ের হিসাবের নানা অসংগতি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল এ নিয়ে পরিস্থিতি গরম হয়ে উঠবে। কিন্তু সে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হলো এজিএম। যেখানে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিন। বাদল রায় উপস্থিত থাকলেও এজিএমে আলোচনার সুযোগ পাননি।
উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বাফুফের দায়িত্বশীলরা। তাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়েই সবকিছু অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় ফুটবল সংস্থার কর্মকর্তারা। এজিএমে কাউন্সিলরদের নানা দাবি-দাওয়া ছিল। তাকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
‘দিন শেষে এটা ফুটবল পরিবার। এখানে কাউন্সিলরদের কিছু দাবি ছিল। আমরা সবই পাস করে দিয়েছি। শান্তিপূর্ণভাবেই সবকিছু হয়েছে। আমরা সবার মতামত নিয়েই ফুটবলের পরবর্তী করণীয় ঠিক করব’—বলছিলেন তৃতীয় মেয়াদে স্থানীয় ফুটবল সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা সালাউদ্দিন।
‘বাদল রায় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে যে অভিযোগ করেছেন, তা প্রথমে নির্বাহী সভায় আলোচনা হতে হবে। নির্বাহী কমিটি প্রয়োজন মনে করলে তা এজিএমে পাঠাতে পারে। তার আগে বিষয়টা এখানে উত্থাপিত হতে পারে না’—বাদল রায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।
বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা-বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে এজিএমের আগেই আয়-ব্যয়ের হিসাবের অসংগতি দূর করার আহ্বান জানানো হচ্ছিল। এ নিয়ে ফুটবলের বর্তমান কর্তাদের বিপরীতমুখী অবস্থানে দাঁড়িয়েছিলেন অনেক তৃণমূল ও ক্লাব সংগঠক। এজিএমে অবশ্য তার কোনো প্রভাব ছিল না।
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার রুহুল আমীন বলেন, ‘আয়-ব্যয়ের হিসাবে নিরীক্ষকের মূল আপত্তি ছিল সাদা কাগজের ভাউচার নিয়ে। এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। প্রতি বছরই সাদা কাগজে ভাউচার করা হয়। এ প্রসঙ্গে বাফুফের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভবিষ্যতে যাতে সাদা কাগজে ভাউচার না করা হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে।’
২০১৭ সালে সাতটি খাত থেকে বাফুফে আয় করেছে ৩৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ওই বছর ব্যয় দেখানো হয়েছে
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের বিদায়
- স্বপ্নচারী এমবাপ্পের হাত ধরে স্বপ্ন জেগেছে প্যারিসে
- সুনীল নারাইনের সেঞ্চুরিতে কলকাতার ২২৩ রান
- বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হলেন মুশতাক আহমেদ
- আইপিএলে ১ মে ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবেন মুস্তাফিজ
- বার্সার মাঠে জয়ের আশায় নামছে পিএসজি