চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভর্তি পরীক্ষার ইংরেজি ও বিশ্লেষণ দক্ষতা বিষয়ের ১২-১৪টি প্রশ্নের নম্বর না পাওয়ার অভিযোগ করছেন ভর্তিচ্ছুরা। গত কয়েক দিনে ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সংশ্লিষ্টদের কাছে এ অভিযোগ দিতে চাইলেও গ্রহণ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ‘ডি’ ইউনিট অধিভুক্ত পাঁচটি অনুষদের ১৯টি বিভাগের ১ হাজার ২৬৪টি আসনের জন্য দুই শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় ইংরেজি মাধ্যমের ন্যাশনাল কারিকুলামের শিক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ায় ফলাফল প্রকাশও স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ৬ নভেম্বর ফের ২০৭ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়। পরে ৭ নভেম্বর রাতে ফল প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশের পর টানা তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফল প্রকাশের পর অভিযোগ গ্রহণের সুযোগ নেই বলে জানানো হয় শিক্ষার্থীদের।
গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় থাকায় মুঠোফোনে বিষয়টি জানানো হয়।
কয়েকজন ভর্তিচ্ছু বণিক বার্তাকে বলেন, পরীক্ষার পর প্রত্যাশিত নম্বরের সঙ্গে ফলাফলে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অন্তত ১২-১৪টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও নম্বর পাননি তারা। ইংরেজি বিষয়ের ৩০টি ও বিশ্লেষণ দক্ষতার ২০টি প্রশ্নে এ ধরনের সমস্যা হয়েছে বলে দাবি তাদের। এছাড়া সতর্কতার সঙ্গে সঠিকভাবে ওএমআর ফরম (উত্তরপত্র) পূরণ করলেও অনেক শিক্ষার্থীর ফলাফলই প্রকাশ হয়নি। অনলাইনে ফলাফল দেখতে চাইলে ‘অ্যাবসেন্স অর ক্যানসেল্ড’ লেখা আসছে। এসব বিষয়ে ইউনিট প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের মুঠোফোনে ও সরাসরি অভিযোগ জানানো হলেও ভুল মানতে নারাজ তারা।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও ‘ডি’ ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক শাখা) ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব এসএম আকবর হোছাইন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার নীতি অনুযায়ী ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার সুযোগ নেই।’