দাম না কমা পর্যন্ত পেঁয়াজ বর্জনের ঘোষণা দিয়ে শপথ!

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মেহেরপুর

মানুষের খাবারের একটি মসলাপণ্য নিয়ে এত আলোচনা হবে, এটা হয়তো কেউ কখনো ভাবেননি। ৩০-৪০ টাকার পেঁয়াজের দাম পেরিয়েছে ২০০ টাকাও। দাম কমানোর নানা পদক্ষেপও নিচ্ছে সরকার। কিন্তু কিছুতেই যেন থামছে না পেঁয়াজ দরের লাগামহীন ঘোড়া। 

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ব্যতিক্রম এক উদ্যোগ নিয়েছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার একটি সংগঠন। দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ বর্জনের ঘোষণা দিয়ে শপথ নিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা। প্রভাতী সংঘ নামের ওই সংগঠনের সদস্যরা প্রতিদিন সকালে একসঙ্গে শরীরচর্চা করেন। 

আজ শনিবার সকালে শরীরচর্চা শেষে মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে তারা শপথগ্রহণ করেন। শপথ বাক্যে সদস্যরা বলেন, ‘আমরা শপথ করছি যে, পেঁয়াজের এই অস্বাভাকি মূল্যবৃদ্ধি একটি অন্যায়। আমরা এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই। তাই যতদিন পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে না ততোদিন পর্যন্ত আমরা পেঁয়াজ বর্জন করলাম। আমাদের রান্নাঘরে আর কোন পেঁয়াজ ঢুকবে না। আমরা আজকের এই শপথ অনুষ্ঠান থেকে সকল আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’

কথাসাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক রফিকুর রশিদ রিজভী, গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি রমজান আলী, কাজিপুর কলেজ অধ্যক্ষ মোকাদেচ্ছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ প্রভাতী সংঘের সদস্যবৃন্দ এ শপথ গ্রহণ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম। 

এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম বলেন, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অবশ্যই অন্যায়। এর প্রতিবাদ থাকা দরকার। অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরা পেঁয়াজ বর্জনের ঘোষণা করছি।

একই দিনে গাংনী বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যারা গাংনী কাচা বাজার ও খুচরা বাজারে অভিযান চালিয়ে পেয়াজের মূল্য ২০০ টাকার বেশি না রাখার কথা জানিয়ে প্রচারণা চালায়। নির্ধারিত এ মূল্যের বেশি দরে পেয়াজ বিক্রি করলে জেল-জরিমানা হবে বলেও ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এসময় বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবাইদুর রহমান, বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ও গাংনী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুব আলম উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন