শেষ পাতা

দেশে নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৪২ লাখের মতো। যদিও এসব গাড়ি চালানোর জন্য লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। গাড়ি ও বৈধ চালকের এ অসামঞ্জস্য অনুপাত সামনে রেখেই আগামীকাল থেকে সীমিত পরিসরে নতুন সড়ক আইন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

কার্যকরের দুই সপ্তাহ পর আগামীকাল থেকে নতুন সড়ক আইন সীমিত পরিসরে প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে আইনটি কার্যকরের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে বৈধ ও দক্ষ চালকের সংকট।

১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর শাস্তি ছিল ৫০০ টাকা জরিমানা বা চার মাসের জেল কিংবা উভয় দণ্ড। অন্যদিকে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এ জরিমানা ও শাস্তির পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ। এক্ষেত্রে লাইসেন্সবিহীন চালককে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের জেল কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ঢাকা মহানগরীতে ২০ লাখ নিবন্ধিত মোটরযানের বিপরীতে চালক রয়েছেন মাত্র ১৪ লাখ। একইভাবে লক্ষাধিক ভারী মোটরযানের বিপরীতে ভারী মোটরযানের লাইসেন্সধারী চালক রয়েছেন মাত্র ২১ হাজার। অন্যদিকে সাড়ে পাঁচ লাখ হালকা মোটরযানের বিপরীতে লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা চার লাখের সামান্য বেশি।

দেশে মধ্যম ও ভারী—এ দুই শ্রেণীর মোটরযানের ক্ষেত্রেই চালক সংকটের কথা পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে। এমনকি খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও গত বছর জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, ‘দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের তুলনায় লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা অর্ধেক।’

বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, সারা দেশে নিবন্ধিত মোটরযান রয়েছে ৪২ লাখের বেশি। অন্যদিকে লাইসেন্সবিহীনভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন ২০ লাখের বেশি চালক।

দক্ষ বা বৈধ চালক সংকটের বিষয়টি উঠে এসেছে পরিবহন মালিক সংগঠনগুলোর কাছ থেকেও। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির তথ্য বলছে, সারা দেশে বাস ও ট্রাকের প্রায় দুই লাখ চালকের প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই। বিআরটিএর হিসাব বলছে, সারা দেশে নিবন্ধিত বাস-ট্রাকের (