বাংলাদেশ পুলিশ

রুটিন ডিউটি শেষে তদন্তে জন্ম নিচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল

নিহাল হাসনাইন

অপ্রতুল জনবল নিয়েও আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা সেবা দেয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে সক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত সেবা দিতে গিয়ে দীর্ঘ ডিউটি করতে হচ্ছে তাদের। সপ্তাহে ৮৪ ঘণ্টার রুটিন ডিউটি শেষে বিশেষ ডিউটিও করতে হচ্ছে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের। নিয়মিত ডিউটির বাইরে মামলার তদন্তকাজ এবং পরোয়ানা তামিল করতে হচ্ছে বাহিনীর সদস্যদের। এতে তদন্তের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হচ্ছে, যার ভুক্তভোগী হচ্ছেন নিরপরাধ ব্যক্তিরা।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, তদন্তের জন্য গঠিত পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে, যা অপারেশনাল পুলিশের (থানায় নিয়মিত কার্যক্রমে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা) নেই। আবার মাঠ পর্যায়ের অপরাধ দমনে যে ধরনের দক্ষতা অপারেশনাল পুলিশের রয়েছে, তা তদন্তের জন্য গঠিত বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর নেই। পাশাপাশি থানায় মামলার তদন্ত করে থাকেন পুলিশের উপপরিদর্শক বা সহকারী উপপরিদর্শক। এক্ষেত্রে তদারকি করে থাকেন একজন পরিদর্শক। কিন্তু তদন্তের জন্য গঠিত বিশেষায়িত ইউনিটগুলোয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন একজন পরিদর্শক। আর তদারকিতে থাকেন অতিরিক্ত বা সহকারী পুলিশ সুপার।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিন রাত মিলিয়ে ১২ ঘণ্টার দুটি শিফটে ভাগ করে থানা পুলিশকে ডিউটি করতে হয়। ট্রাফিক বিভাগকেও একই রোস্টারে ডিউটি পালন করতে হয়। এর বাইরে বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর ক্ষেত্রে কোনো ডিউটি রোস্টার থাকে না। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা কখনো থেকে ১২ ঘণ্টা, কখনো কখনো ১৬ ঘণ্টাও ডিউটি পালন করে থাকেন।

তবে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, থানার ডিউটি হয় দুই শিফটে। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ৮টায়। আবার রাত ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় সকাল ৮টায়। কাগজে-কলমে ১২ ঘণ্টার শিফট ডিউটির কথা উল্লেখ থাকলেও প্রয়োজনভেদে ১২ ঘণ্টার ডিউটি ১৬ ঘণ্টা, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ ঘণ্টাও ডিউটি করতে হয়। নির্ধারিত শিফট ডিউটির পর মামলার তদন্ত পরোয়ানা তামিলের কাজও করতে হয় পুলিশ সদস্যদের। এতে তদন্ত কাজে যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন না কর্মকর্তারা। ফলে অনেক সময়ই নির্ভুল তদন্তও সম্ভব হচ্ছে না। আবার পরোয়ানা তামিলে আসামি শনাক্তেও ভুল হচ্ছে। ফলে কিছু ক্ষেত্রে অপরাধীর বদলে সাজা ভুগতে হচ্ছে নিরপরাধ ব্যক্তিকেও।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন