ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে দুই ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। গতকাল রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামছুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
প্রতিবেদনে কী উঠে এসেছে এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথার ট্রেনচালক, সহকারী চালক ও গার্ডের গাফিলতি ছিল বলে আমরা তদন্তে পেয়েছি। এছাড়া কুয়াশা ও মাটির স্তূপের জন্য স্টেশনের সিগন্যাল দেখতে পাননি বলে চালকরা যে দাবি করেছেন, সেটা আমাদের তদন্তে তার সত্যতা মেলেনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আমাদের তদন্তে কীভাবে ঘটনা ঘটল, কাদের গাফিলতি ছিল—এসব বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন রেলওয়ের মহাপরিচালক স্যারের কাছে জমা দিয়েছি। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও সম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ শেষ না হওয়ায় জমা দিতে পারিনি। শুক্রবারও ঘটনাস্থলের আলামত দেখে ও পর্যালোচনা করে দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
এছাড়া দেশের ইতিহাসে বড় এ রেল দুর্ঘটনা-পরবর্তী করণীয় নিয়ে কিছু সুপারিশও রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ ঢাকায় রেলপথমন্ত্রী ও রেলের ডিজি সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির ওই সদস্য।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার মন্দবাগ স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনের সারির কয়েকটি কোচকে ধাক্কা দেয়। এতে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হন। মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে সংঘটিত দুর্ঘটনার বিষয়ে পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
