প্রতি বছরই পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলের শুঁটকি চাতালগুলোয়। প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় চাতালে মাছ বাছাই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন শ্রমিকরা। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন চলতে থাকে এ কর্মযজ্ঞ। তবে এবার মৌসুম শুরু হলেও বিলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ মিলছে না। এতে শুঁটকি উৎপাদন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চাটমোহরসহ চলনবিলের সুস্বাদু শুঁটকির চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু প্রতি বছরই মাছের সংকটে এর উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুঁটকি পল্লীগুলো। ফলে পেশা সংকটে পড়ছেন এর সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক। অথচ একসময় এখানে প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় গড়ে ওঠে অসংখ্য শুঁটকি পল্লী। উৎপাদিত শুঁটকি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশে-বিদেশে বিক্রি করে বছরে আয় হতো কোটি টাকা।
চাতাল মালিকরা বলছেন, মাছের আকালে চাটমোহরের শুঁটকি চাতালগুলো তুলে নেয়া হচ্ছে। ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকেই। উপজেলার খলিশাগাড়ি, আফরার, ডেঙ্গার, ডিকশি ও হান্ডিয়াল কাটাজোলা বিল এলাকায় যে অল্প কয়েকটি চাতাল রয়েছে, সেগুলোর পরিসরও খুব বড় নয়। সেখানেও মাছ নেই বললেই চলে।
খলিশাগাড়ি বিলপাড়ের ধানকুনিয়া এলাকায় শুঁটকির চাতাল দিয়েছেন আব্দুল মমিন। তিনি জানান, এবার বিলে মাছ নেই। অল্প কিছু পুঁটি পাওয়া গেলেও দাম চড়া। আগে বিল থেকে পাওয়া দেশী প্রজাতির শোল, টাকি, বোয়াল, টেংরা, পুঁটি, চান্দাসহ বিভিন্ন মাছের শুটকি তৈরি করা হতো। দিন-রাত চাতালে ব্যস্ত থাকতেন শ্রমিকরা। কিন্তু এবার মাছই মিলছে না।
আরেক শুঁটকি ব্যবসায়ী আক্কাস আলী বলেন, যে পরিমাণ মাছ মিলছে, তা নিজেরাই শুকাচ্ছেন। ফলে এবার আর শ্রমিকও লাগছে না। আগে চলনবিলের শুঁটকি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হতো। কিন্তু এবার এলাকার চাহিদা মেটানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে বিলপাড়ের হান্ডিয়াল, ছাইকোলা, নিমাইচড়া, নবীন, চিনাভাতকুর গ্রামের মত্স্যজীবীরা জানান, এবার দুই দফায় বিলে পানি বাড়লেও অল্পদিনেই শুকিয়ে গেছে। ফলে যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, স্থানীয় বাজারে তার ব্যাপক চাহিদা। তাই কেউ আর চাতালে মাছ দিচ্ছেন না। এবার প্রশাসন একাধিকবার বিলের সোঁতি জাল অপসারণ করেছে। ফলে পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছও নদীতে ফিরে গেছে।
শুঁটকি শ্রমিকরা বলেন, বর্তমানে চলনবিল অঞ্চলে মাছের পরিমাণ কমে গেছে। শুঁটকি উৎপাদনে খরচও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। তেমন লাভ না হওয়ায় মালিকরা শুঁটকি চাতাল বন্ধ করে দিচ্ছেন।
ভাঙ্গুড়ার শুঁটকি ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, বর্তমানে শুঁটকির বিক্রিমূল্য উৎপাদন খরচের অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব
- রাঙ্গামাটিতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে
- রেল ও সড়ক দুর্ঘটনায় সাত জেলায় নিহত ১৯
- ১২ বছরেও পুরোপুরি চালু হয়নি সিসিইউ
- রংপুর ও নীলফামারীতে পরিকল্পিত সবজি চাষ
- সাগরে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের সোর্ডফিশ
- দেশে ফিরেছেন মিয়ানমার ও ভারতে আটক ১৮৬ বাংলাদেশী