২ হাজার ৭০ মিটারের ধামইরহাট-বিহারীনগর জিসি সড়ক সংস্কারে ব্যয় করা হচ্ছে ৫১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তবে এত টাকা ব্যয়ের পরও কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার সড়কটি সংস্কারে ব্যবহার করছিলেন নিম্নমানের খোয়া। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ব্যবহূত নিম্নমানের খোয়া অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা ছাড়াও পত্নীতলা, মহাদেবপুর, বদলগাছি ও সাপাহার উপজেলার বাসিন্দারা ধামইরহাট-বিহারীনগর জিসি সড়ক ব্যবহার করে থাকে। এ সড়ক দিয়েই ওই এলাকার সবচেয়ে বড় বাজার ধামইরহাটে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এ সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি ৫১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কাজটি পায় রাজশাহীর ঠিকাদার মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ। তবে প্রতিষ্ঠানটি কাজটি স্থানীয় ঠিকাদার মো. খলিলুর রহমানের কাছে বেচে দেয়। তিন মাস আগে তিনি এ সড়কটি সংস্কার শুরু করেন। তবে শুরু থেকেই তিনি সড়কটি সংস্কারে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে আসছিলেন। এ ব্যাপারে সড়কটির সুবিধাভোগীরা আপত্তি জানালেও তিনি কর্ণপাত করেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়রা এলজিইডির কাছে অভিযোগ দেয়।
ধামইরহাটের পৌর কাউন্সিলর মুক্তাদিরুল হক মুক্তা বলেন, সড়কটি সংস্কারে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে কাজ করলে সড়কটি কিছুদিনের মধ্যে আবারো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
ধামইরহাট উপজেলার তালঝাড়ী গ্রামের আজিজুল হক বলেন, আমার দোকানের সামনে দিয়ে সড়কটি চলে গেছে। পা দিয়ে ডলা দিলে রাস্তায় বিছানো ইটের খোয়া গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে।
তালঝাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বাচ্চু বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করলে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেও সড়কটি মানুষের কোনো কাজে আসবে না। বরং ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠবে।
এ ব্যাপারে ধামইরহাট এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আলী হোসেন বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছিলাম। গিয়ে দেখেছি কোনো কোনো জায়গায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এসব খোয়া অপসারণের জন্য ১১ নভেম্বর ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। খোয়া করার জন্য নিম্নমানের যেসব ইট মজুদ রাখা হয়েছিল, সেগুলোও সরাতে বলা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. লিটন বলেন, আমার লাইসেন্সে কাজটি হচ্ছে। কাজে অনিয়ম হচ্ছে