উত্তরাঞ্চলের মধ্যে ধান-চালের সবচেয়ে বড় মোকাম নওগাঁয়। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখানকার মোকামগুলোয় চিকন চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। আর বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) বেড়েছে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা। মিলাররা বলছেন, বাজারে জিরাশাইল ও ব্রি আটাশ জাতের ধানের সরবরাহ কমেছে। পাশাপাশি ভারত থেকে ‘সম্পা কাটারি’ চালের আমদানি বন্ধের কারণে জিরাশাইলের ওপর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
বাজার ও মোকামগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহে চিকন চালের দাম ৩৬ টাকা হলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে ৪০-৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রি আটাশ বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দরে। এছাড়া স্বর্ণা ৩০ টাকা, কাটারি ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রকারভেদে মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের দামের সঙ্গে চালের বাজারে সামঞ্জস্য না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। বেশি দামে ধান কিনে কম দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। যে হারে ধানের দাম বেড়েছে, সে তুলনায় চালের দাম কম। এ কারণে চিকন চালের দাম ৫০ টাকার মধ্যে থাকলে কৃষকদের কাছ থেকে আরো বেশি দামে ধান কিনতে পারবেন। আর এতে কৃষকরা ধানের দাম পাবেন বলে মনে করছেন তারা।
মেসার্স সমতা রাইস এজেন্সির প্রোপ্রাইটর সুকুমার বণিক বার্তাকে বলেন, প্রকারভেদে প্রতি বস্তায় চালের দাম ১০০-২০০ টাকা বেড়েছে। বিপরীতে ধানের দাম বেড়েছে প্রতি মণ ১৫০-২৫০ টাকা। এতে করে ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। শুধু জিরাশাইল চাল ও ধানের দাম বেড়েছে। কিন্তু বাকি সব অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন থেকে ধান-চালের দাম কম হওয়ায় জিরাশাইল চালের দাম কম ছিল। এতে ভোক্তারা চিকন চালের ভাত খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এতে করে বাজারে মোটা চালের বিপরীতে চিকন চালের চাহিদা বেড়ে সরবরাহ কমে যায়। ফলে চিকন চালের সরবরাহ সংকটে গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে।
নওগাঁ ধান ও চাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বণিক বার্তাকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে চিকন চালের দাম কম থাকায় সব শ্রেণীর মানুষ এ চাল ব্যবহার করেছে। ভারত থেকে ‘সম্পা কাটারি’ চালের আমদানি বন্ধ হওয়ায় জিরাশাইলের ওপর চাপ পড়েছে। সরকার কৃষকদের ধানের দাম দিতে চাইছেন। যার কারণে ধানের দাম ২৬ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই