বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ চীনে শিল্পধাতুটির উৎপাদন কমেছে। অক্টোবরে দেশটিতে ধাতুটির উৎপাদন কমে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে। মূলত চীনে জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক সপ্তাহের ছুটিতে কারখানাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ধাতুটির উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। দেশটির সরকারি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্স।
চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে দেশটি সব মিলিয়ে ৮ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করেছে। আগের বছরের একই সময়ে ধাতুটি উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টন। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ধাতুটির উত্তোলন দাঁড়িয়েছিল ৮ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জরিপ অনুযায়ী, অক্টোবরে চীনে দৈনিক গড়ে ২৬ লাখ ৩০ হাজার টন করে অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরে শিল্পধাতুটির দৈনিক উৎপাদন গড় ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার টন। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে চীনে ধাতুটির উৎপাদন কমেছে দৈনিক গড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টন।
তবে এ সময় জাতীয় ছুটি ছাড়াও পরিবেশ ইস্যুতে চীন সরকারের বাধ্যবাধকতা ধাতুটির উৎপাদন হ্রাসের পেছনে প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চীন পরিবেশ ইস্যুতে সচেতন হয়ে উঠেছে। এছাড়া আসন্ন শীতকাল সামনে রেখে বায়ুদূষণ রোধে দেশটির সরকার আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এতে দেশটিতে অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন সীমিত করে আনা হয়েছে।
এছাড়া এ খাতে কারখানাগুলোর মুনাফা হ্রাসও উৎপাদন সেক্টরে বাড়তি চাপ ফেলেছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই ইস্পাত তৈরির অন্যতম প্রধান কাঁচামাল আকরিক লোহার দামে তেজি ভাব বজায় রয়েছে। বছরের শুরুতেই বিশ্বের শীর্ষ আকরিক লোহা উত্তোলনকারী কোম্পানি ভ্যালে বাঁধ দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটি ধাতব পণ্যটির উত্তোলন কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এদিকে বিশ্বের শীর্ষ আকরিক লোহা রফতানিকারক অস্ট্রেলিয়া ঝড়ের কবলে পড়ে খনিজ পণ্যটির উত্তোলন কমিয়ে আনে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া ধাতব পণ্যটির রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। সব মিলিয়ে আকরিক লোহার আন্তর্জাতিক বাজার বেশ অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে গেছে এবং দফায় দফায় পণ্যটির দাম বেড়েছে।
ইস্পাত তৈরির অন্যতম প্রধান কাঁচামালটির দাম বাড়ায় খাতসংশ্লিষ্ট শিল্পে এর প্রভাব পড়েছে। শুধু অক্টোবরেই চীনের বাজারে আগের মাসের তুলনায় স্টিল স্ক্র্যাপের দাম প্রতি টনে ১০০ ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) বা ১৪ ডলার ৩০ সেন্ট বেড়েছে।
এদিকে বছরের