তানজানিয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মধ্যে কাজুবাদাম অন্যতম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে দেশটি প্রতি বছর এ খাতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। সম্প্রতি কৃষিপণ্যটির উৎপাদন আরো বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটি। শুধু উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাড়িয়ে তানজানিয়া বিশ্বের শীর্ষ কাজুবাদাম রফতানিকারক দেশ হওয়ার পরিকল্পনা করছে। খবর ব্লুমবার্গ ও বিজনেস লাইন।
আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে তানজানিয়া কাজুবাদাম উৎপাদন বর্তমানের তুলনায় তিন গুণের বেশি বাড়াবে বলে জানিয়েছে দেশটির কৃষিমন্ত্রী। এই সময়ের মধ্যে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন ১০ লাখ টনে উন্নীত করার প্রত্যাশা রয়েছে দেশটির। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে দেশটি বিশ্বের শীর্ষ কাজুবাদাম রফতানিকারক হয়ে উঠতে পারবে বলে জানান দেশটির কৃষিমন্ত্রী জাফেট হাসুঙ্গা।
তিনি বলেন, তানজানিয়ার প্রধান কাজুবাদাম উৎপাদনকারী প্রদেশগুলো বাদেও অন্যান্য প্রদেশে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন বাড়াতে সরকার কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করছে। এরই মধ্যে দেশটির ১৭টি প্রদেশে কাজুবাদাম আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যে স্বচ্ছতা বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির সরকার।
জাফেট হাসুঙ্গার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে এবার মৌসুমে দেশটির কাজুবাদাম উৎপাদন বেড়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল নাট অ্যান্ড ড্রায়েড ফ্রুট কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, তানজানিয়ার এ ধরনের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদামের দাম নির্ধারণ ও সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব ফেলতে পারে। ২০১৭-১৮ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে মোট ৩৩ লাখ টন কাজুবাদাম উৎপাদন হয়েছিল। এর অর্ধেকের বেশি এসেছিল আইভরি কোস্ট, গিনিসহ আফ্রিকার দেশ থেকে। এ সময়ে ভারত ও ভিয়েতনাম ছিল খাদ্যপণ্যটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় উৎপাদক।
ওই সময়ে তানজানিয়া ৩ লাখ ১৩ হাজার ২২৩ টন কাজুবাদাম উৎপাদন করে রেকর্ড করেছিল, যার অর্থমূল্য ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। তবে গত বছর দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন কমে ২ লাখ ১২ হাজার টনে নেমে আসে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অষ্টম ও আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম কাজুবাদাম উৎপাদনকারী দেশ তানজানিয়া। এ খাত দেশটির মোট অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সরবরাহ করে।
