চলতি বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় চালের উৎপাদন টানা চতুর্থবারের মতো কমে যেতে পারে। স্ট্যাটিসটিকস অব কোরিয়ার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে দেশটিতে সব মিলিয়ে ৩৭ লাখ ৪৪ হাজার টন চাল উৎপাদন হতে পারে। গত বছরের তুলনায় যা ৩ দশমিক ২ শতাংশ কম এবং ৩৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। খবর পালস নিউজ।
এর আগে ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় চালের উৎপাদন ছিল ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টন। এর পর থেকে চালের উৎপাদন ক্রমাগত কমে যেতে থাকে। আর ২০১৭ সাল থেকে দেশটির উৎপাদন ৪০ লাখের নিচে নেমে এসেছে। এ সময় দেশটির উৎপাদন ছিল ৩৯ লাখ ৭২ হাজার টনের মতো।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ফসল আবাদে বৈচিত্র্য আনতে কৃষকদের ধানের বাইরে অন্যান্য ফসল চাষে উৎসাহী করছে। যে কারণে দেশটিতে ধানের আবাদ কমছে। স্ট্যাটিসটিকস অব কোরিয়ার তথ্য বলছে, চলতি বছরে দেশটিতে আবাদ ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৯ হাজার ৮১৪ হেক্টরে। এর বাইরে দেশটিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আবাসন খাতে নির্মাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবাদি জমির পরিমাণ কমে এসেছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এবার সবচেয়ে বেশি চাল উৎপাদন হয়েছে দেশটির সাউথ জেওল্লা প্রদেশে। চলতি বছরে এ অঞ্চলে চালের উৎপাদন ধরা হয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার টন। এছাড়া সাউথ চিয়োংসেং প্রদেশে ৭ লাখ ৯ হাজার এবং নর্থ জেওল্লায় চালের উৎপাদন ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৫ হাজার টন।
চলতি বছর দেশটিতে প্রতি ১০ এয়রে (১ হেক্টর = ১০০ এয়র) চাল উৎপাদন কমে দাঁড়াবে ৫১৩ কেজি বা ১২ দশমিক ৮২ মণ। যেখানে গত বছরে উৎপাদন ছিল ৫২৪ কেজি বা ১৩ মণের মতো। সেই হিসাবে, চলতি বছরে উৎপাদন কমতে পারে ২ দশমিক ২ শতাংশ।
স্ট্যাটিসটিকস অব কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, টাইফুন লিংলিং, তাপা ও মিতাগের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চলতি বছর ফসল উৎপাদন কমেছে। সেপ্টেম্বরে আঘাত হানা এসব দুর্যোগ ধান পাকার সময় আসায় ধান উৎপাদন কমে গেছে।
