হিলি স্থলবন্দর

চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৬ কোটি টাকা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি হিলি

 চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কোটি টাকা কম হয়েছে তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যবস্থাপনা, অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কম হওয়া, দীর্ঘদিন ধরে ফল আমদানি বন্ধ থাকার পাশাপাশি দুর্গা পূজা সরকারি ছুটির কারণে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রাজস্ব আহরণে ঘাটতি পড়েছে তবে ঘাটতি শিগগিরই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা

হিলি স্থল শুল্কস্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হিলি স্থলবন্দর থেকে প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এর মধ্যে জুলাইয়ে কোটি ১৬ লাখ, আগস্টে ১৭ কোটি ৩১ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১১ কোটি ৯৪ লাখ এবং অক্টোবরে ১৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা এর বিপরীতে গত চার মাসে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা এতে করে প্রথম চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি থেকে গেছে কোটি ৪৪ লাখ টাকা

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রবিউল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গুঁড়ো দুধ, কাগজ, সুতাসহ আটটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিন্তু ওইসব পণ্য বেনাপোলসহ দেশের অন্য বন্দর দিয়ে আমদানির অনুমোদন রয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে খৈল, ভুসি, ভুট্টা, পাথর ছাড়া তেমন কোনো পণ্য আমদানি হয় না এর একমাত্র কারণ হিলি কাস্টমসের ব্যবস্থাপনা যেমন কোনো পণ্য বেনাপোলসহ অন্য বন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে যদি ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে ছাড় দেয়া হয়, সেই একই পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হলে শুল্কায়ন মূল্য হয় -১০ ডলার বাড়তি খরচ হওয়ায় আমদানিকারকরা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন কারণে স্থলবন্দর দিয়ে এখন পণ্য আমদানির পরিমাণ কমছে ফলে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণও দিন দিন কমে যাচ্ছে

তিনি আরো বলেন, স্থলবন্দরে আমদানীকৃত পণ্যের পরীক্ষণ শুল্কায়নেও রয়েছে দীর্ঘসূত্রতা এছাড়া হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তাজা ফল আমদানিতে ট্রাকের চাকা অনুযায়ী শুল্কায়নের যে পদ্ধতি চালু আছে, যার কারণে তিন বছর ধরে বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে তবে দেশের অন্য বন্দর দিয়ে পদ্ধতি অনুসরণ না করায় আমদানিকারকরা ওইসব স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন দেশের সব স্থলবন্দরকে একই নিয়মে পরিচালনা করা হলে হিলি স্থলবন্দর দিয়েও পণ্য আমদানি বৃদ্ধির সঙ্গে রাজস্ব আহরণও বাড়বে বলে তিনি জানান

হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম পরিমাণে রাজস্ব আহরণ হয়েছে এর অন্যতম কারণ দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পণ্য রফতানি না করায় বন্দর দিয়ে টানা ১০ দিন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল এছাড়া সরকারি ছুটির কারণে আরো কয়েকদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল ফলে গত মাসে ১৬ দিন বন্দরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া বেশির ভাগ পণ্য কম শুল্কযুক্ত পণ্য অন্যদিকে অধিক শুল্কযুক্ত পণ্যের আমদানি গত বছরের তুলনায় কমেছে, যার কারণে স্থলবন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে কর্মকর্তা আশা করছেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন