দেশে সব ধরনের রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি, বিতরণ ও রফতানি
স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচামালে গ্রহণযোগ্য
মাত্রার চেয়ে বেশি এন-নিট্রোসডিমিথাইলামাইন (এনডিএমএ) পাওয়ার
পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল এ-সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান
স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের মেসার্স সারাকা ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড এবং
মেসার্স এসএমএস লাইফসায়েন্স থেকে আমদানি করা রেনিটিডিন হাইড্রোক্লোরাইড কাঁচামাল (এপিআই) এবং ওই কাঁচামাল
দিয়ে উৎপাদিত ওষুধের নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করেছে অধিদপ্তর।
পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষাকৃত কাঁচামাল ও ফিনিশড প্রডাক্টে এনডিএমএ ইমপিওরিটি
গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এ কারণে জনস্বার্থে দেশে সব ধরনের
রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ উৎপাদন,
বিক্রি, বিতরণ ও রফতানি
স্থগিত করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের
অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ভারতের মেসার্স সারাকা ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ও
মেসার্স এসএমএস লাইফসায়েন্স থেকে আমদানীকৃত রেনিটিডিন হাইড্রোক্লোরাইড কাঁচামাল
এবং ওই কাঁচামাল দিয়ে উৎপাদিত ফিনিশড পণ্যের নমুনা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষার ফলাফলে কাঁচামাল ও ফিনিশ প্রডাক্ট এনডিএমএ
ইমপিওরিটি গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অধিক পাওয়া যায়। এ কারণে জনস্বার্থে দেশের সব
ধরনের রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ উৎপাদন বিক্রি, বিতরণ ও রফতানি স্থগিত করা হলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে
উল্লেখ করা হয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রমতে, ভারতের দুটি
কোম্পানির কাঁচামালে গ্রহণযোগ্য মাত্রার বেশি এনডিএমএ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে মূলত
এসব কোম্পানি থেকে কাঁচামাল এনেই রেনিটিডিন বানানো হয়। তাই রেনিটিডিনেই নিষেধাজ্ঞা
দেয়া হয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ
প্রশাসন (এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান
মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) একটি গবেষণাপত্র
প্রকাশ করে। এতে দাবি করা হয়, রেনিটিডিন ওষুধে এন-নাইট্রোসোডিয়ামেথাইলামাইনের (এনডিএমএ) উপস্থিতি পাওয়া
গেছে।