নতুন নেতৃত্বে নতুন যুগের শুরুটা খুবই বাজেভাবেই হলো বাংলাদেশের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দিন পার করার চ্যালেঞ্জই নিতে পারেনি টাইগাররা। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে চা বিরতির পর পরই মাত্র ১৫০ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। দলের একজন ব্যাটসম্যানও পাননি হাফ সেঞ্চুরির নাগাল। জবাবে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে গেছে স্বাগতিক ভারত। প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৬৪ রান পেছনে স্বাগতিকরা। হাতে নয় নয়টি উইকেট।
গতকাল ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে টস জয় বাংলাদেশের জন্য হয়ে থাকল শুধুই সান্ত্বনা। বিরাট কোহলির বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অভিষিক্ত অধিনায়ক মুমিনুল হক। শুরু থেকেই অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। নতুন বলে উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মার তোপে সফরকারী দলের দুই ওপেনারের একজনও পাননি দুই অংকের ঘরের নাগাল। ইমরুল কায়েসের উইকেট নিয়ে শুরুটা করেন উমেশ। এ সময় যাদবের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে ঠিকঠাক খেলতে ব্যর্থ হন শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ভোগা কায়েস। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে গেল তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ানো অজিঙ্কা রাহানের হাতে। ৬ রান করতে সমর্থ হন কায়েস। পর পরই বিদায় নিলেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। এবারের ঘাতক ইশান্ত। জায়গায় দাঁড়িয়ে শট খেলার মাশুল গুনলেন এ বাঁহাতি ওপেনার। ধরা পড়লেন উইকেটের পেছনে। সাদমানও আউট হন ৬ রান করে। স্কোরবোর্ডে তখন ১২/২।
অধিনায়কের সঙ্গী হলেন মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ভাঙল জুটি। এ সময় মোহাম্মদ শামির সুইংয়ে পুরোপুরি পরাস্ত মিঠুন ফিরলেন লেগবিফোর হয়ে। মাত্র ৩১ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১৩ রানে বিদায় নিলেন মিঠুন। মুমিনুলের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন মুশফিকুর রহিম। প্রতিরোধের চেষ্টা করলেন দুজন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ভারতীয় বোলারদের উইকেটবঞ্চিত রাখতে সমর্থ হন দুজন। অবশ্য আউট হওয়ার সুযোগ দেন দুজনই। চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন দুজনে। মুমিনুলকে আউট করার মধ্য দিয়ে এ জুটি ভাঙেন অফস্পিনার রবিচন্দ্র অশ্বিন। সরাসরি বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৮০ বলের ইনিংসে ৩৭ রান করেন মুমিনুল। এরপর বাংলাদেশ ইনিংসে আর বলার মতো কোনো জুটি হয়নি।