বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগে ক্লাবগুলোকে অনুদান প্রদানের ঘটনায় ভিন্ন উদ্দেশ্য দেখছেন বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তারা। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সভায় এ নিয়ে কথা বলেন অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
‘বাফুফে এজিএম দুদিন পর। এ অবস্থায় ক্লাব প্রতিনিধিদের চেক প্রদান করা হয়েছে, তারিখ দেয়া হয়েছে আগামী মাসের। এজিএমে যাতে ক্লাব প্রতিনিধিরা আপত্তি না করেন এ কারণেই কি চেক দেয়া?’—প্রশ্ন তোলেন ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
সভায় বাফুফের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে নানা অসংগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। নগদ লেনদেন, অনেক ভাউচারের সঙ্গে সাদা কাগজে বিল প্রদান, ফেডারেশনের অর্থ পরিশোধ পদ্ধতি, পাওনাদারের টাকা প্রশাসনিক ব্যয় হিসেবে প্রদর্শন, ব্যয়ের বিপরীতে আয়ের হিসাব উল্লেখ না করা, অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন না করাসহ নানা অসংগতি রয়েছে বলে ক্ষুব্ধ ক্লাব প্রতিনিধিরা।
এ সম্পর্কে রুহুল আমীন বলেন, ‘বাফুফের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব। সেখানেই এ নিয়ে ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের অবস্থান পরিষ্কার করব।’ বাফুফের আর্থিক বিবরণী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই সহসভাপতি বাদল রায় ও মহিউদ্দিন আহমেদ।
গতকাল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভায় সংগঠনের কমিটিকে চূড়ান্ত রূপ দেয়া হয়। এতদিন অ্যাডহক কমিটি দিয়ে চলছিল এ সংগঠন। মমিনুল হক সাঈদের পরিবর্তে গতকাল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক করা হয় পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসানকে। বাফুফের দুই সহসভাপতি বাদল রায় ও মহিউদ্দিনকে ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি করা হয়। এছাড়া অন্যান্য পদে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়।
‘ফুটবল আমার রক্তে মিশে আছে। যতদিন দেহে প্রাণ আছে ফুটবলের পাশেই থাকব। আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালনের চেষ্টা করব। ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দাঁড় করাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব’, বলেন শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান। বাফুফের সাবেক এ নির্বাহী কমিটির সদস্য আরো বলেন, ‘২০১২ সালে নির্বাচনের পর বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ফুটবলের জন্য তোমাদের কী প্রয়োজন? এতেই ক্রীড়ার প্রতি তার অনুরাগ স্পষ্ট। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুরাগ ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাতে পারিনি