কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের হাতে আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একাধিক মামলার আসামি রোহিঙ্গা ডাকাত মাহমুদুল হাসান (৩৭) নিহত হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। পরে গভীর রাতে তাকে নিয়ে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গেলে বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। মাহমুদুল হাসান নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকের মৃত বাকের আহমদের ছেলে।
টেকনাফ থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে আটক হাসানকে নিয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ শালবাগান ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যায়। এ অভিযানকালে পাহাড়ে সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাতরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করলে কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ মাহমুদুল হাসানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশী পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। পরে মাহমুদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হস্তান্তর করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল মিঠুন, শাহীন ও হাবিব আহত হন।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, মাহমুদুল হাসানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলা করা হবে।