লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিশীল মানুষ

হাশেম খান

বিশ্বে এমন কিছু ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে, যারা তাদের সারা জীবনের কাজ মেধার প্রখরতা প্রতিভার প্রকাশে অকল্পনীয়, অভাবনীয় বিস্ময়কর মানুষ হিসেবে চিরকালীন অস্তিত্ব নিয়ে বিরাজমান। যাকে নিয়ে আজ বাক্যটি উচ্চারণ করলাম, তিনি প্রায় ৫০০ বছর আগেই প্রয়াত। তার জন্ম ১৪৫২ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সের উপান্তে ভিঞ্চি গ্রামে। নামলিওনার্দো সঙ্গে জন্মস্থানভিঞ্চিগ্রাম সংযুক্ত হয়ে নাম হয়েছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। বিচিত্র, ব্যাপক বহুমুখী গুণ প্রতিভার কারণে তাকেবৈশ্বিক মানবেরসম্মানেও ভূষিত করা হয়েছে, যাকে লাতিনে বলা হয় La Umo Universalযাদের ব্যক্তিত্ব শতধা বিচ্ছুরিত আলোকিত করেছে বিশ্বকে।

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে বিশ্বের মানুষ যেসব বিষয়ে পেয়েছে, তা হিসাব করলে দাঁড়ায়

তিনি চিত্রশিল্পী ভাস্কর, স্থপতি, সংগীতজ্ঞ, উদ্ভাবক আবিষ্কারক, প্রযুক্তিবিদ, প্রয়োগিক প্রকোশলী বিজ্ঞানী। ভূতত্ত্ববিদ, নিসর্গপ্রেমী, দার্শনিক, শারীরবিদ, লেখক কবি। রাজসভাসদের সদস্য হিসেবেও তার প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এতগুলো গুণের সমন্বয় একজন মানুষের মধ্যে, যা বিস্ময়কর অভাবনীয়তো বটেই। বিরল উদাহরণ সফল ব্যক্তি লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। লিওনার্দো বেঁচে ছিলেন ৬৭ বছর। শেষ জীবন কাটে জন্মভূমি থেকে দূরে প্রবাসে, ফ্রান্সের এসবাইস গ্রামে। তার মৃত্যুর পর গ্রামবাসী এক বৈচিত্র্যময় শোক শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রার সম্মুখভাগে বিচিত্র পোশাকে সজ্জিত ৬০ জন মানুষ প্রদীপ্ত আলোর মশাল হাতে নিয়ে ধীর পদক্ষেপে এগিয়ে যানতাদের অনুকরণ করে শ্রদ্ধা অবনতচিত্তে সেন্ট ফ্লোরেনটাইন গির্জার যাজকেরা লিওনার্দোর শবদেহের কফিন কাঁধে বহন করে নিয়েছেন প্রিয় শিল্পী লিওনার্দোকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে। হাজার গ্রামবাসী মিছিলে অংশ নিয়ে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ করে তুলেছিল সেই বিরল মৌন শোক শোভাযাত্রা। দেশের রাজরানী অভিজাতদের জন্য যে সমাধিক্ষেত্র, প্রিয় মানব লিওনার্দোকে সেই সমাধিক্ষেত্রেই সমাধিস্থ করা হয়।

লিওনার্দোর প্রিয়তম শিষ্য ফ্রানসেসকো মেলজি লিওনার্দোর ভাইকে মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে যে চিঠি লেখেন, তাতে অবিস্মরণীয় একটি উক্তি ছিল। এমন এক ব্যক্তির মৃত্যুতে সবাই শোকে মূহ্যমান, যার সমতুল্য আরেকজনকে সৃষ্টি করার ক্ষমতা প্রকৃতির নেই। ১২ আগস্ট ১৫১৯। শোকে মূহ্যমান শিষ্যের উক্তি যে আতিশয্য নয়, তা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন