চবির ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, চবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের এক আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরীকে আহবায়ক, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ ও সহকারী প্রক্টর ড. হানিফ মিয়াকে সদস্য করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদ ও প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ডি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্রে ইংরেজি মাধ্যমের ন্যাশনাল কারিকুলামের ৩২৯ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ের আবশ্যক ৩০ নম্বরের পরিবর্তে ইংরেজি মাধ্যমের ব্রিটিশ কারিকুলামের বিশেষ ইংরেজি বিষয় সম্বলিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয় ওই ৩২৯ শিক্ষার্থীর। পরে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টিকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল” উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশও করেছিলেন ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক। ৬ নভেম্বর ওই ৩২৯ শিক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হলেও বিষয়টি জানতেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক। অভিভাবকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন বলেও গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তারা। 

অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের পর উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া একদল শিক্ষার্থীর ভর্তির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে দাবি করে মানোন্নয়নকৃত একদল শিক্ষার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করলে বিষয়টি আলোচনায় আসে। গত সপ্তাহজুড়ে ভর্তির সুযোগ প্রদানের দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীদের এ অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ভাষ্য ছিল- গত বছর ভর্তির আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি এমন শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষায় দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করলে চলতি বছর ভর্তির আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ভর্তির আবেদন সম্পন্ন করে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার পর তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা অযৌক্তিক। বিষয়টি নিয়ে সপ্তাহজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। মানোন্নয়নকৃত ওই শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে চারটি ইউনিটের মেধাতালিকা স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিভাগ পছন্দের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক শাখা) ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব এসএম আকবর হোছাইন জানিয়েছেন, ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী যারা যোগ্য, তারাই অনলাইনে সাবজেক্ট চয়েস (বিভাগ পছন্দ) দিতে পারবেন। ১৪-১৬ নভেম্বর সাবজেক্ট চয়েস করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন