স্থাপনা থেকে যুদ্ধাপরাধীদের নাম মুছে ফেলতে আবারও হাইকোর্টের নির্দেশ

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব স্থাপনা ও সড়ক থেকে যুদ্ধাপরাধীদের নাম মুছে ফেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নতুন করে নামকরণে আবারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এমনকি এই আদেশ বাস্তবায়নে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির এর সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী  ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। যুদ্ধাপরাধীদের নামে স্থাপনা, সড়ক, অবকাঠামোর নামকরণ স্থগিত চেয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, সাংবাদিক, গবেষক শাহরিয়ার কবীর। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৪ মে রুলসহ খান-এ সবুর ও শাহ আজিজুর রহমানের নাম ব্যবহার স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

রুলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নামে থাকা সড়ক, স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, পরিবর্তনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সেসবের নামকরণ কেন করা হবে না এবং যারা ওই নামকরণের জন্য দায়ী তাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।

পরে স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন করে প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব ও খুলনার মেয়রকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদেশের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনও স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম না সরানোর কারণে এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি নিয়ে আদালত প্রশাসনকে শেষবারের মতো সময় বেঁধে দিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন