বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট ঘেরাও হংকং বিক্ষোভকারীদের

বণিক বার্তা ডেস্ক

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান হংকং বিক্ষোভ তুঙ্গে পৌঁছেছে। গতকাল পর্যন্ত টানা তৃতীয় দিন সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা অচল করে রেখেছে এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই আর্থিক হাব। পুলিশের তরফ থেকে সহিংসতা বাড়ার হুঁশিয়ারিতে বন্ধ হয়ে গেছে কিছু সড়ক, স্কুল ও অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। খবর রয়টার্স।

গতকাল মধ্যাহ্নভোজের সময় প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী শহরটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক ডিস্ট্রিক্টের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভকারীদের অফিস পোশাকে সম্প্রতি নিষিদ্ধ মাস্ক পড়তে দেখা গেছে। তাদের মিছিল থেকে রাস্তার পার্শ্ববর্তী ব্যয়বহুল আবাসন প্রতিষ্ঠান ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাগশিপের দোকানে ইট ছুড়তেও দেখা গেছে।

স্টক এক্সচেঞ্জের পাশে মোতায়েনকৃত রেকর্ডসংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে থামাতে ও কিছু বিক্ষোভকারীকে মাটিতে শুয়ে লাঠি দিয়ে প্রহার করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার রাতভর পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। ওইদিন শহরটির জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তার ‘হংকং পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে’—এমন মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোয় অবস্থান নেন।

প্রসঙ্গত, হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভ ও সহিংসতার দায় বারবার অস্বীকার করে এসেছে চীন সরকার। বরং এসবের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনকে দায়ী করে আসছে দেশটি।

এদিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের ব্যারিকেড ও পুলিশের উপস্থিতির কারণে গতকাল সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করে। অন্যদিকে আজ সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে হংকংয়ের শিক্ষা অধিদপ্তর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন