বাংলাদেশ রেলওয়ে

সিগন্যাল নিয়ে ৩ মাস আগেই অভিযোগ করেছিলেন চালকরা

সুজিত সাহা চট্টগ্রাম ব্যুরো

মন্দবাদসহ একাধিক স্টেশনের সিগন্যাল ত্রুটি অস্পষ্টতার বিষয়ে তিন মাস আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রেনচালকরা। চলমান ডাবল লাইন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রাখা নির্মাণসামগ্রী, বালি ইট রাখার কারণে দূর থেকে সিগন্যাল বাতি দেখা যেত না বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তারা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ শ্রমিক-কর্মচারী সমিতি চলতি বছরের ৩০ জুলাই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) কাছে সিগন্যাল, সংকেতসহ সেকশনওয়ারি নানা সমস্যা জানাতে বৈঠকের আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জুলাই চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ের (সিআরবি) জিএম কার্যালয়ে সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জিএম নাসির উদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে সেকশন অনুযায়ী সিগন্যাল ত্রুটির কারণে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে লিখিত চিঠি দেয়া হয় সমিতির পক্ষ থেকে। জিএমের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে জানানো হলেও মন্দবাগসহ সিগন্যালের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করেনি রেলের সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মন্দবাগে প্রবেশের আগেই আউটারে বালির ঢিবির কারণে আপ আউটার সিগন্যাল দেখতে পান না চালক। কারণে মন্দবাগ স্টেশনের সিগন্যালের আগে আরো একটি রিপিটার সিগন্যাল বসানোর অনুরোধ করা হয়। অর্থাৎ মূল সিগন্যাল দেখা না গেলে বিকল্প সিগন্যালের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়। এখন পর্যন্ত সে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।

মন্দবাগ স্টেশন মাস্টার অফিস সূত্রে জানা গেছে, লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় পথিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল করায় অনেক সময় এসব সামগ্রীর জন্য সিগন্যাল বুঝতে সমস্যা হয় চালকদের। বিশেষ করে রাতের বেলায় বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়া রাতে কুয়াশার কারণে প্রতিবন্ধকতা থাকলে সিগন্যাল দেখতেও সমস্যা হয় বলে জানিয়েছে চালক সমিতি।

বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বণিক বার্তাকে বলেন, মন্দবাগ স্টেশনে প্রবেশের আগেই আউটার সিগন্যাল দেখতে পান না চালক। সিগন্যালিংয়ের বিভিন্ন ত্রুটি এর প্রতিকার চেয়ে আমরা কয়েক মাস আগেই রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা না হলে বাংলাদেশ রেলওয়েতে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন