২০১৯-২০ মৌসুমে স্থিতিশীল থাকবে চালের বৈশ্বিক উৎপাদন

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রতিকূল পরিবেশের জেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবার কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিশ্বের শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোয় কৃষিপণ্যটির ফলন, আবাদ ও উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। তবে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ মৌসুম শেষে খাদ্যপণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন আগের বছরের মতোই থাকবে। মূলত ভারতে বাম্পার ফলনের জেরে খাদ্যপণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন অপরিবর্তিত থাকবে। খবর বিজনেস ওয়ার্ল্ড ও কমোডিটি অনলাইন।

গ্রেইন: ওয়ার্ল্ড মার্কেটস অ্যান্ড ট্রেড ফর নভেম্বর প্রতিবেদনে ইউএসডিএ জানায়, চলতি মাসে চালের বৈশ্বিক উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকবে। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে স্বল্প ফলন অব্যাহত থাকলেও এর বিপরীতে ভারতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদনে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকবে। এতে মৌসুম শেষে

চালের বৈশ্বিক উৎপাদন আগের মৌসুমের মতোই থাকবে।

ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশ ভারতের উৎপাদন ১০ লাখ টন বেড়ে ১১ কোটি ৫০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। মূলত দেশটির রবি মৌসুমের ফসলের জন্য পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা থাকায় উৎপাদন বাড়বে।

এদিকে এ সময় বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় কৃষিপণ্যটির উৎপাদন হতে পারে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টন, যা আগের মাসের তুলনায় নয় লাখ টন কম। বৃষ্টিপাতের অভাবে দেশটিতে এবার দেরিতে মৌসুম শুরু হয়েছে।

একই সময় পণ্যটির অন্যতম শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ফিলিপাইনের উৎপাদন ১ দশমিক ৬ শতাংশ বা দুই লাখ টন কমে দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ২০ লাখ টনে। দেশটির কৃষকরা চালের পরিবর্তে অধিক লাভজনক ফসল আবাদে আগ্রহী হওয়ায় ধানের আবাদ কমেছে, যা দেশটির মোট উৎপাদন কমিয়ে আনবে।

তবে চলতি মাসে ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানি কমাতে পারে। এ সময় দেশটি মোট ২৫ লাখ টন চাল আমদানি করতে পারে, যা আগের মাসের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। নভেম্বরে দেশটিতে আমদানীকৃত চালের ব্যবহার আগের মাসের তুলনায় ২ শতাংশ কমে ১ কোটি ৪২ লাখ টনে নেমেছে। চলতি মাস শেষে দেশটিতে চালের মজুদ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টন, যা গত মাসের তুলনায় অপরিবর্তিত।

ইউএসডিএর ওয়ার্ল্ড এগ্রিকালচার প্রডাকশন নামের আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, নভেম্বরে আগের মাসের তুলনায় ফিলিপাইনের চাল উৎপাদন কমলেও ২০১৮ সালের একই মাসের তুলনায় বাড়বে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ সময় দেশটিতে হেক্টরপ্রতি কৃষিপণ্যটির ফলন হতে পারে ৪ দশমিক শূন্য ৫ টন, যা আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন