বাবু ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে : তথ্যমন্ত্রী

বণিক বার্তা অনলাইন

আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ব‌লে‌ছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের সঙ্গে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বেঈমানি করেননি। বাবু ভাইয়ের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’

আজ বুধবার (১৩ ন‌ভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর রাহাত্তারপুলের এক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছি‌লেন আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক সড়ক প‌রিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কা‌দের। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগ নেতারা।

২০১২ সালের ৪ নভেম্বর কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান আওয়ামী লীগের এই নেতা। চার বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদের এই সদস্য ছিলেন একজন শিল্পোদ্যোক্তা। তাকে স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাবু ভাইয়ের সাথে বহুদিন কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কোন মানুষ সাহায্য, সহযোগিতার জন্য তার কাছে গেলে, খালি হাতে ফিরতে দেখিনি। আমি পারবো না- এই কথাটি তিনি কখনো বলেননি। এ অঞ্চলে অনেক মানুষ আছে, যারা বাবু ভাইয়ের কারণে উপকৃত হয়েছে। শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছে যারা বাবু ভাইয়ের কারণে উপকৃত হয়েছে। অনেকে ব্যাংকের মালিক হবে স্বপ্নেও দেখেনি, তাকে বাবু ভাই ব্যাংকের পরিচালক বানিয়েছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ যখন মহাবিপর্যয়ের মুখে তখন দলকে দল পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বাবু ভাই। তিনি চট্টগ্রামের মাটিতে আওয়ামী লীগের পতাকা উড্ডীন রেখেছেন। সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, সমস্ত লোভ-লালসাকে প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখাদের মধ্যে একজন ছিলেন বাবু ভাই। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন।

দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ দিতে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর হাত সবসময় প্রসারিত ছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি কখনো কাউকে না করতেন না। কোন মানুষ সাহায্যের জন্য গেলে তাকে আমি না বলতে দেখিনি। বাবু ভাইদের মতো নেতাদের ত্যাগের কারণে সমস্ত প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় ঠিকে আছে। বাবু ভাই দেশবরেণ্য শিল্পপতি হলেও রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। যারা বিত্তবৈভবের মালিক, তাদের অনেকে আজকে রাজনীতিতে আসছেন, রাজনীতিকে অর্থ দিয়ে কেনার চেষ্টা করছেন। বাবু ভাই এক্ষেত্রে পুরো আলাদা ছিলেন। 

তিনি বলেন, শিল্পপতি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না, দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতেন বলেই তিনি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বাবু ভাই কর্মীদের নেতা ছিলেন, আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনার সাথে, আওয়ামী লীগের সাথে, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে কখনো বেঈমানি করেননি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন