ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৬

সিগন্যাল পেয়েও মানেননি তূর্ণা নিশীথার চালক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি কুমিল্লা

রাত তখন আনুমানিক পৌনে ৩টা। শশীদল অতিক্রম করে মন্দবাগ স্টেশনের দিকে ছুটছে তূর্ণা নিশীথা। আর কসবা স্টেশন ছেড়ে মন্দবাগে প্রবেশের অপেক্ষায় উদয়ন এক্সপ্রেস। স্টেশন মাস্টারের সংকেত পেয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। এর মধ্যেই উদয়ন এক্সপ্রেসের মাঝামাঝি বগিতে ঢুকে পড়ে দ্রুতগামী তূর্ণা নিশীথা। এরপর রক্ত, আর্তনাদ আর মৃতদেহ। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গতকাল বিকাল পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরো শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু।

তূর্ণা নিশীথার চালকের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার স্টেশনে প্রবেশের আগেই আউটারে থামার সংকেত দিলেও তূর্ণা নিশীথার চালক তা আমলে নেননি। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তূর্ণা নিশীথার লোকোমোটিভ মাস্টার (চালক) সহকারী মাস্টারকে এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।

রেলওয়ে স্টেশন, প্রত্যক্ষদর্শী আহত যাত্রী স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা মঙ্গলবার ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা দেয়। মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার স্টেশনে প্রবেশের আগেই আউটারে থামার জন্য লালবাতি জ্বালিয়ে সংকেত দেন। অন্যদিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস কসবা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশপথে স্টেশনমাস্টার তাকে মেইন লাইন ছেড়ে দিয়ে নম্বর লাইনে আসার সংকেত দেন। ওই ট্রেনের চালক নম্বর লাইনে প্রবেশ করার সময় ছয়টি বগি প্রধান লাইনে থাকতেই বিপরীত দিক থেকে আসা তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুতগতিতে ট্রেন চালান। সময় উদয়ন ট্রেনের মাঝামাঝি তিনটি বগির সঙ্গে তূর্ণা নিশীথার ইঞ্জিনের সংঘর্ষ হয়। এতে উদয়ন এক্সপ্রেসের তিনটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ট্রেনটির ১৬ যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরো শতাধিক যাত্রী।

নিহত ১৬ জনের মধ্যে সাতজনের বাড়িই হবিগঞ্জে। তারা হলেন হবিগঞ্জ শহরতলির আনোয়ারপুর গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র আলী মো. ইউসুফ (৩২), বানিয়াচং উপজেলার মদন মোরাদ গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র আল আমিন (৩৪), একই উপজেলার টাম্বুলিটুলা মহল্লার সোহেল মিয়ার দুই বছর বয়সী কন্যা আদিবা আক্তার, হবিগঞ্জ শহরতলির বহুলা গ্রামের আলমগীর মিয়ার পুত্র ইয়াসিন মিয়া (১২), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাশেমের পুত্র হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দা?

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন