আগামী ২৮ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারা দেশে সব লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ নিয়ে পরবর্তী সময়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, ঢাকা নদীবন্দরকে সব ধরনের সন্ত্রাসমুক্ত করা, কেরানি-কেবিন বয়-ইলেকট্রিশিয়ানসহ সব নৌ-শ্রমিককে গেজেট মোতাবেক বেতন প্রদানসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন নৌযান শ্রমিকরা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফছার হোসেন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শেখ আবুল কাশেমসহ অন্যরা। সভা পরিচালনা করেন দপ্তর সম্পাদক প্রকাশ দত্ত।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ২০১৫ সালে উপস্থাপিত ১৫ দফা দাবির মধ্যে অমীমাংসিতগুলোকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিষ্পত্তিতে মালিকদের হঠকারিতা ও সময় ক্ষেপণের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে আন্দোলন শুরু করেন নৌযান শ্রমিকরা। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে ফেডারেশন নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৪ অক্টোবর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে মালিক, শ্রমিক ও সরকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে ৯ অক্টোবর শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গেও আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত প্রকাশ করা হয়। কিন্তু মালিকদের অসহযোগিতায় দীর্ঘ ছয় মাসেও এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল মধ্যরাতে দেশব্যাপী কর্মবিরতিতে যান নৌযান শ্রমিকরা। এর পরদিনই শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মালিক সমিতিগুলোর প্রতিনিধি ও ফেডারেশনের নেতাদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হওয়ায় কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়।
শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সে সময়ও মালিকপক্ষের অনুপস্থিতি ও টালবাহানার কারণে ৪৫ কর্মদিবসের জায়গায় ৯০ দিন অতিবাহিত হলেও দাবি নিষ্পত্তি হয়নি। বাধ্য হয়ে নৌযান শ্রমিকরা চলতি বছরের ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেন। এরপর ২৪ জুলাই শ্রম অধিদপ্তরের আহ্বানে শ্রম
- সমৃদ্ধি কেবল মেগা প্রকল্পে নয়, নাগরিক স্বাধীনতায়ও থাকতে হবে —পিটার হাস
- বিএমইটিতে অভিযোগ করেও প্রতিকার পান না ৬১% প্রবাসী
- বাংলাদেশে আটকে আছে বিদেশী এয়ারলাইনসের ৩২ কোটি ৩ লাখ ডলার
- ভিন্ন মাপের ভালভ ও রেগুলেটরে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি
- উপজেলা নির্বাচনে নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা —ওবায়দুল কাদের
- তাপমাত্রা আজ থেকে ফের বৃদ্ধির আভাস