বাংলাদেশীদের জন্য শিগগিরই খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। শ্রমিক পাঠাতে এবার থাকবে না সিন্ডিকেট। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করবে সরকার। এছাড়া এবার বহির্গমন ব্যয় কমানো এবং একবার মাত্র স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে দুই দেশ একমত হয়েছে।
মালয়েশিয়া সফর নিয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভার পরই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শামসুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইমরান আহমদ বলেন, বিদেশে যাওয়ার পর অনেকে অবৈধ অভিবাসী হয়ে পড়েন। তাদের হাতে কোনো বৈধ কাগজপত্র থাকে না। যারা পাঠায় আর যারা গ্রহণ করে তারা সবাই এখানে জড়িত। এবারের সফরে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রমিক পাঠানোর জন্য ‘ব্যাক ফর গুডস’ প্রোগ্রাম চালু করবেন। এখানে একটি বিষয় আমি যোগ করতে বলেছি, রিক্রুটিং এজেন্টদের টাকা দিয়ে গেছেন—এটা প্রমাণ করতে পারলে তাদের পুনর্নিয়োগ দেয়া যায় কিনা। তারা বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। তবে নিশ্চয়তা দেননি।
মালয়েশিয়ার বাজার খুলতে পারে এ খবরেই অনেক রিক্রুটিং এজেন্সির অর্থ লেনদেন—এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, টাকা-পয়সা লেনদেনের তথ্য দেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব। এরই মধ্যে ১৬৪টি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছি। এ বছর সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছি। এখন থেকে দেশের বাইরে যেতে হলে বাংলাদেশে রেজিস্ট্রি করতে হবে।
মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ব্যয় সম্পর্কে ধারণা চাইলে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে হলে নতুন করে নিবন্ধিত হতে হবে। ৩-৪ লাখ টাকা লাগবে না। আমরা এখন একটি নতুন ডাটাবেজ তৈরি করছি। চাহিদাপত্র এলে ডাটাবেজ থেকে বাছাই করে দিতে পারব। এভাবে আমরা এজেন্ট বাদ দিতে চাইছি। তবে নতুন ডাটাবেজ ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে একটু সময় লাগবে। এখন শুধু ঢাকা জেলাতেই চালু রয়েছে। এদিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর ঢাকায় দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রবাসী